spot_img

সিটিকে বিদায়ের শঙ্কায় ফেলে অবিশ্বাস্য জয় পিএসজির

অবশ্যই পরুন

জেতা তো পরের কথা, ম্যাচে টিকে থাকাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল পিএসজির জন্য। নাস্তানাবুদ অবস্থা থেকেই প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার সিটিকে বড় ধাক্কা দিলো ক্লাবটি। প্রত্যাবর্তনের অনবদ্য এক গল্প লিখলো পিএসজি। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও এলো ৪-২ গোলের জয়। পিএসজি পয়েন্ট তালিকায় ২৬ নম্বর থেকে ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ২২ নম্বরে এলো।

অন্যদিকে প্রিমিয়ার লিগে ধুঁকতে থাকা সিটি চ্যাম্পিয়নস লিগেও পৌঁছে গেল খাদের কিনারায়। শেষ ষোলো নিশ্চিত করার জন্য প্লে–অফ খেলতে হলে শেষ ম্যাচে ক্লাব ব্রুগার বিপক্ষে জিততেই হবে তাদের। তবে ৭ ম্যাচ শেষে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ২৫ নম্বরে থাকা সিটি এই মুহূর্তে বাদ পড়াদের কাতারেই আছে।

প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুই দল। ম্যাচের প্রথম সুযোগটা অবশ্য পিএসজিই পেয়েছিল। তবে সিটি গোলরক্ষক এদেরসন সে যাত্রায় বাঁচিয়ে দেন দলকে। ১০ মিনিটে আবার অল্পের জন্য সুযোগ হাতছাড়া করে পিএসজি।

শুরুর ধাক্কা সামলে দ্রুত আক্রমণে যায় সিটিও। ১৩ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার শট ঠেকান পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। গোল না পেলেও দুই দলের আক্রমণাত্মক ফুটবল ম্যাচটাকে রোমাঞ্চকর করে তোলে। দুই দলই এ সময় চেষ্টা করে গোল আদায়ের। আক্রমণ, প্রতি-আক্রমণের ধারায় ২৭ মিনিটে আবারও অল্পের জন্য গোল পাওয়া হয়নি পিএসজির। গোললাইন থেকে বল ফেরান সিটি ডিফেন্ডার ইউস্কো গাভারদিওল।

উভয়ে উভয়ের গোল ফিরিয়ে দিলেও আক্রমণের উত্তাপ কিন্তু কমেনি। ঝুম বৃষ্টির মধ্যও দুই দল চেষ্টা করে যাচ্ছিল গোল আদায়ের। ৩৯ মিনিটে আবার আক্রমণে গিয়ে সুযোগ তৈরি করে সিটি। তবে এবারও পোস্টের সামনে দেয়াল তুলে দাঁড়িয়ে যান দোন্নারুম্মা। সিটি না পারলেও প্রথমার্ধের শেষ দিকে ঠিকই গোল আদায় করে নেয় পিএসজি। তবে আশরাফ হাকিমির করা সেই গোলটি বাতিল হয় অফ সাইডের কারণে।

বিরতির পর দুই বদল নিয়ে মাঠে নামে সিটি। জ্যাক গ্রিলিশ আসেন সাভিনিওর জায়গায় আর রিকো লুইস আসেন রুবেন দিয়াজের জায়গায়। এই বদল ম্যাচও বদলে দেয়। ৫০ মিনিটে গোল করেন বদলি নামা গ্রিলিশ। ইংলিশ তারকার গোলের ৩ মিনিট পর সিটিকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন আর্লিং হলান্ড। তখন মনে হচ্ছিল ম্যাচটা পিএসজির হাত ফসকে গেছে। কিন্তু কে জানত, নাটকের সবটাই তখনো বাকি।

নাটকের প্রথম অঙ্কটা ৫০ থেকে ৫৩ মিনিটের মধ্যে মঞ্চস্থ হওয়ার পর দ্বিতীয় অঙ্ক মঞ্চস্থ হয়েছে ৫৬ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যে। ৫৬ মিনিটে উসমান দেম্বেলে প্রথমে গোল করে ব্যবধান ২-১ করেন। এরপর ৬০ মিনিটে দারুণ এক গোলে ব্রাডলি বারকোলা অবিশ্বাস্যভাবে সমতায় ফেরান পিএসজিকে। অর্থাৎ ম্যাচের প্রথম ৫০ মিনিট গোল না হওয়া ম্যাচটিতে ১০ মিনিটেই হলো ৪ গোল। মূলত দুই গোল হজম করার পরই দারুণ নৈপুণ্যে ঘুরে দাঁড়ায় প্যারিসের ক্লাবটি। আক্রমণের পর আক্রমণে কাঁপিয়ে দেয় সিটিকে।

সর্বশেষ সংবাদ

মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের সাহায্য করছে যে ‘তরমুজ‘ গুপ্তচররা

গোপনে গণতন্ত্রপন্থী বিদ্রোহীদের হয়ে কর্মরত গুপ্তচররা এককালে দুর্ধর্ষ বলে পরিচিত মিয়ানমার সেনাবাহিনীতে ফাঁটল ধরাচ্ছে বলে বিবিসি জানতে পেরেছে। মিয়ানমারের মাত্র...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ