spot_img

সাইফের ওপর হামলাকারী সম্পর্কে তদন্তে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

অবশ্যই পরুন

মধ্যরাতে কীভাবে সাইফ আলি খানের বাড়িতে প্রবেশ করেছিল হামলাকারী? কীভাবেই বা অভিনেতাকে ছুরি মেরে সেখান থেকে সে পালাল? খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার অভিনেতার বান্দ্রার বাড়িতে অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে নিয়ে পৌঁছেছে মুম্বাই পুলিশ। এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, ধরণা করা হচ্ছে মেঘালয় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকেছিল সেই হামলাকারী। থেকেছিল পশ্চিমবঙ্গেও। বাংলারই এক মহিলার নাম ভাঁড়িয়ে কিনেছিল সিম কার্ড।

তবে অভিযুক্ত শরিফুলের আইনজীবী সন্দীপ শেরানি আদালতে দাবি করেছেন, পুলিশের হাতে এমন কোনও নথি নেই যাতে প্রমাণ হয় তাঁর মক্কেল বাংলাদেশি নাগরিক। তবে মুম্বাই পুলিশের পাল্টা দাবি, শরিফুল যে আদতে বাংলাদেশেরই বাসিন্দা এবং বেআইনিভাবে দেশে প্রবেশ করেছে, তার প্রমাণ রয়েছে। বাংলাদেশে ধৃতের এক আত্মীয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।

মুম্বাই পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় সাত মাস আগে বাংলাদেশ থেকে মেঘালয় সীমান্ত দিয়ে ডাউকি নদী পার করে এসেছিল শরিফুল। মেঘালয় থেকে গুয়াহাটি হয়ে ঢোকে পশ্চিমবঙ্গে। পুলিশ সূত্রের দাবি, কয়েক সপ্তাহ বাংলায় থেকে ভুয়ো আধার কার্ড তৈরির চেষ্টাও করেছিল শরিফুল। তবে সে চেষ্টা সফল হয়নি। তবে বাংলার বাসিন্দা এক মহিলার নাম ভাঁড়িয়ে সে একটি সিম কার্ড কিনেছিল।

যে সব জায়গায় নাগরিকত্বের প্রমাণ দেখানোর প্রয়োজন পড়ে না, সেখানে কাজের সন্ধান শুরু করে শরিফুল। তাকে সাহায্য করেছিল অমিত পাণ্ডে নামে এক ঠিকাদার। পুলিশ সূত্রে খবর, মুম্বাইয়ের যে পাবে সে কর্মরত ছিল, সেখান থেকে একটি হিরের আংটি চুরি করায় চাকরি গিয়েছিল তার। গত কয়েক মাসে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দার নাম ভাঁড়িয়ে কেনা সিম থেকে একাধিক ফোন করা হয়েছিল।

জিজ্ঞাসাবাদের সময় মুম্বাই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা শরিফুল পরিবারের সঙ্গে ফের যোগাযোগ করতে বলে। তখনই বাংলাদেশের নাগরিক, শরিফুলের এক ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয় পুলিশের। দাবি ক্রাইম ব্রাঞ্চের। জানা গিয়েছে, শরিফুল সে দেশে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। তার দুই ভাইও রয়েছে। কাজের খোঁজেই সে ভারতে ঢুকেছিল।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রার নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সাইফ আলি খান। হামলার পর রক্তাক্ত সাইফকে ভর্তি করা হয় লীলাবতী হাসপাতালে। আজমঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন অভিনেতা। পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থেকে হাসপাতাল ছাড়ার সময় অভিনেতার সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী, বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর।

সর্বশেষ সংবাদ

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেলেন প্রধান উপদেষ্টা

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফ হিউসগেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখে আয়োজিত তিনদিনব্যাপী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ