spot_img

আরজি কর মামলার রায়ে অখুশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

অবশ্যই পরুন

আরজি করের ইন্টার্ন চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যা মামলার তদন্তে খুশি হলেও আদালতের রায়ে খুশি হতে পারেননি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একমত নয় সাধারণ জনতা। তদন্ত প্রক্রিয়া ও তথ্য প্রমাণ লোপাট নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও পুলিশের দিকেই আঙুল তুলছে সাধারণ মানুষ। আদালতের রায় তাই খুশি করতে পারেনি সাধারণ মানুষকেও।

আর জি কর-এর রায় নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা প্রথম দিন থেকেই ফাঁসির দাবি করে এসেছিলাম। আজও সেই দাবি অনড় আছি। কিন্তু আদালতের রায়ের ওপর আর কী বলব, আমি জানি না। আমার আর আমার দলের বক্তব্য আমরা এর আগে তিনটি মামলায় ফাঁসির নির্দেশ করা হয়েছে। তবে এটা সিরিয়াস কেস ছিল। আমরা ফাঁসির দাবি করে এসেছিলাম। আমরা বলেছিলাম আমাদের হাতে এই কেস থাকলে অনেক আগেই ফাঁসির নির্দেশ হয়তো দিয়ে দেয়া যেত।

তিনি বলেন, ইচ্ছে করে এই কেসটা কেড়ে নেয়া হলো আমাদের হাত থেকে। বাকিটা কী হয়েছে না হয়েছে আমি জানি না। বলেছিলাম আমরা করতে না পারলে সিবিআইকে দিন। এই নরপিশাচদের চরমতম শাস্তি হয়া উচিত। আমি নিজে একজন আইনজীবী হিসেবেই এ কথা বলছি। আমি বিস্তারিত নথি দেখিনি। কিন্তু আমি সন্তুষ্ট নই। অন্তত ফাঁসির সাজা দিলে নিজের মনকে শান্ত করতে পারতাম।

আদালতের রায় নিয়ে সাধারণ মানুষ বলছেন, তদন্তের শুরু থেকেই তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছে পুলিশ এবং তাতে সহযোগিতা করেছে রাজ্য সরকার। সিবিআই যে সময়ে এই মামলা হাতে নিয়েছে সেই সময় অধিকাংশ তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়ে গিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ঘটনা অন্য খাতে বইয়ে দেয়ার জন্য রাজনৈতিক যোগসাজশের দিকে আঙুল তুলছেন সাধারণ মানুষ।

এর আগে নির্যাতিতার পরিবারের তরফেও জানানো হয়েছিল গোটা তদন্ত প্রক্রিয়ায় তারা কোনো ভাবেই খুশি নয়। পুলিশ কিংবা সিবিআই কারোর ওপরেই আস্থা নেই তাদের। পরিবার তরফে নির্যাতিতার মা-বাবা দুজনেই বারবার তদন্ত প্রক্রিয়া প্রভাবিত করা ও তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার জন্য অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ও তার দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে।

সর্বশেষ সংবাদ

ভূমি মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব পেলেন আলী ইমাম মজুমদার

খাদ্য মন্ত্রণালয়েরর পাশাপাশি এখন থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ও সামলাবেন আলী ইমাম মজুমদার। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তিনি ভূমি উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ