অবসর ভেঙে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণার পর থেকেই নিয়মিত আলোচনায় তামিম ইকবাল। তবে এবারের বিপিএল শুরুর পর থেকে আলোচনার পশাপাশি সমালোচনার মুখেও পড়ছেন নিয়মিত।
ইদানিং তাকে বেশ উত্তেজিত মনে হচ্ছে। তামিম যেন অল্পতেই রেগে যাচ্ছেন। যে কারো সঙ্গে তর্কেও জড়িয়ে পড়ছেন। চলমান বিপিএলের ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স হেলস এবং ঢাকা ক্যাপিটালস ও জাতীয় দলে সতীর্থ সাব্বির রহমানের সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ করে আলোচনার খোরাক তৈরি করেছিলেন দেশ সেরা এই ওপেনার।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ম্যাচে ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিমকে নিয়ে আবারও আলোচনা তুঙ্গে। এবার বরিশালে তার সতীর্থ আরেক ইংলিশ ক্রিকেটার ডেভিডের মালানের সঙ্গে তামিম রেগে গেছেন বলে ধারণা করেছেন ভক্তরা।
রোববারের ওই ম্যাচে তামিম দলের আরেক ওপেনার ডেভিড মালানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির সূত্রে আউট হয়েছিলেন। এরপরেই রাগত চাহনি ছিল তার। মালানকেও এই অবস্থায় কিছু একটা বলতে দেখা যায়। এনিয়েও সরব ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
‘মাঠে দুই ব্যাটসম্যানের ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাশা প্রকাশ করাও স্বাভাবিক। আমি রানআউট হওয়ার পরই মালান হাতের ইশারায় ‘সরি’ বলেছে। আমি সেদিকে তাকিয়ে মাঠের বাইরে চলে যাই। তার সঙ্গে কোনো কথাই হয়নি। কাছেই থাকা প্রতিপক্ষের একজন ফিল্ডার তখন মালানকে একটা কথা বলেছে, যা তার ভালো লাগেনি। মালান সেই ফিল্ডারকেই জবাব দিচ্ছিল, তার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল। অথচ সেটাকেই অনেকে বানিয়ে ফেলেছে, আমার সঙ্গে নাকি মালানের ঝামেলা হয়েছে!’
‘এরকম অনেক সময়ই অনেকে টিভিতে দু-একটি দৃশ্য দেখে নানা রকম ধারণা করে ফেলেন। গত কয়েক দিনে আমাকে নিয়েও এরকম হয়েছে। কিন্তু কোনো ঘটনা তো হুট করে হয় না। এটার পেছনেও অনেক ঘটনা থাকে। মাঠে এরকম অনেক কিছুই হয়, যা টিভিতে পুরোপুরি ফুটে ওঠে না এবং সেটা উচিতও নয়। কিন্তু টিভিতে দু-একটি দৃশ্য দেখেই চূড়ান্ত ধারণা নেওয়া উচিত নয়। যাদের নিয়ে ঘটনা, যারা মাঠে থাকেন, তারা সবকিছু জানেন। আজকের উদাহরণ দিয়েই আবার বলছি, টিভিতে এক-দুই ঝলক দেখেই সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়া উচিত নয়।’
‘ধন্যবাদ সবাইকে।’