কাতারে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ‘সীমিত আকারে আলোচনা’ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ব্লুমবার্গ তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে, দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত একমাত্র আলোচনায় বন্দি বিনিময়ের বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে।
এর আগে একই দিন মস্কো ও কিয়েভ সর্বশেষ যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ দিন উভয় পক্ষের ২৫ জন করে সেনা বিনিময় করা হয়।
ব্লুমবার্গের তথ্যমতে, ক্রেমলিন কাতারে আলোচনার বিষয়ে অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
২০২৪ সালের আগস্টে ওয়াশিংটন পোস্ট দাবি করেছিল, কাতারের মধ্যস্থতায় মস্কো এবং কিয়েভ সেই বছরের গ্রীষ্মে গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি অবকাঠামোর নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করছে। আগস্টের শুরুতে রাশিয়ার কুরস্ক সীমান্ত অঞ্চলে ইউক্রেনের আগ্রাসনের কারণে আরেকটি আলোচনা ভেস্তে যায়।
মস্কো তখন এই প্রতিবেদনের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল, এ তথ্য নিছক ‘গুজব’। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা সে সময় বলেছিলেন, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কোনো ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা’ নিয়ে আলোচনা হয়নি।
জাখারোভার মতে, ২০২২ সালের বসন্তের পর শান্তি আলোচনা ভেস্তে গেলে মস্কো এবং কিয়েভ কোনো আলোচনায় যুক্ত হয়নি। শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পেছনে রাশিয়া পশ্চিমা হস্তক্ষেপকে দায়ী করে।
২০২৪ সালের নভেম্বরে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ বিন মোহাম্মদ আল-আনসারি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ইউক্রেন সংঘাতে তার দেশের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা ‘শত্রুতায় আক্রান্ত শিশুদের তাদের পরিবারের সাথে পুনরায় একত্রিত করতে সহায়তা করার লক্ষ্যে’ একটি মানবিক প্রচেষ্টা।
আল-আনসারির মতে, কাতার সবসময়ই ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার’ নীতি অনুসরণ করে আসছে। মুখপাত্র আরও বলেছিলেন, দোহা এই সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে সমস্ত প্রচেষ্টাকে সমর্থন দেবে।