এক সপ্তাহ আগে মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রক্তাক্ত এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে তিনি আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এরই মধ্যে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতিও চলছে। কিন্তু পুতিনের দাবি ট্রাম্পের আলোচনায় ন্যাটোতে যোগ দেবে না ইউক্রেন।
সংশ্লিষ্টদের মতে, রাশিয়া ইউক্রেনকে ন্যাটো জোটের সাথে কঠোরভাবে সামরিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানাবে। পাশাপাশি আগত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে যে কোনো আলোচনায় স্বল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সাথে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হওয়ারও দাবি করবে তারা।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে কিয়েভ কখনই উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থায় যোগদান করবে না। তাদের সামরিক সক্ষমতার উপর সীমাবদ্ধতা স্থাপন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ক্রেমলিনের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সংবেদনশীল এসব তথ্য নিয়ে আলোচনা না করাই ভালো।
প্রসঙ্গত, ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়ার আগ্রাসনের শিকার ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন এবং তিনি দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র দেড় সপ্তাহ আগে এই বৈঠকের কথা জানালেন।
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, ফ্লোরিডার পাম বিচে তার মার-এ-লাগো রিসোর্টে রিপাবলিকান গভর্নরদের সাথে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, তিনি বৈঠক করতে চান এবং সেটির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীনে ইউক্রেনে প্রেরিত বিশাল সামরিক সহায়তার সমালোচনা করার পাশাপাশি, ট্রাম্প পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত অংশগ্রহণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় যুদ্ধকালীন সমর্থক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বাইডেনের অধীনে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ৬৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের সামরিক সহায়তা প্রদান করে আসছে।
এমতাবস্থায় ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ইউক্রেনে মস্কোর দখলদারিত্ব বন্ধ করার জন্য একটি কূটনৈতিক সমাধানের আশা জাগিয়ে তুলেছে। তবে দ্রুত শান্তি চুক্তি ইউক্রেনের জন্য উচ্চ মূল্যে আসতে পারে বলে কিয়েভ ও এর মিত্রদের মধ্যে আশঙ্কাও তৈরি করেছে।