spot_img

তৃতীয় মেয়াদে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হলেন মাদুরো, নতুন নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

অবশ্যই পরুন

টানা ছয় মাস ধরে নির্বাচনী বিবাদ, প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যেতে আন্তর্জাতিক আহ্বান এবং তাঁকে আটক করতে যুক্তরাষ্ট্রের পুরস্কার বৃদ্ধি সত্ত্বেও শুক্রবার ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে শপথ নিয়েছেন নিকোলা মাদুরো।

প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়ার দিনেই যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার আটজন কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং মাদুরোকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুরস্কারের অর্থ বাড়িয়ে এখন ২,৫০,০০০০০ করেছে।

২০১৩ সাল থেকে নিকোলা মাদুরো ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট। গত বছরের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দেশটির নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ এবং শীর্ষ আদালত তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করে। যদিও তাঁর বিজয় নিশ্চিত করে ভোটের পুঙ্খানুপুঙ্খ ফল কখনোই প্রকাশ করা হয়নি।

নতুন যে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্র পরিচালিত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ’র নব-নিযুক্ত প্রধান হেক্টর অব্রেগন এবং ভেনেজুয়েলার পরিবহন মন্ত্রী, রেমন ভেলাসকুয়েজ।

যুক্তরাষ্ট্র এমন সময় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করলো যখন একই পদক্ষেপ গ্রহণ করে ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ।

মাদুরো ও তাঁর সহযোগীরা সব সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্যদের নিষেধাজ্ঞাকে এই বলে প্রত্যাখ্যান করেছে যে এগুলো হচ্ছে অবৈধ পদক্ষেপ যা ভেনেজুয়েলাকে পঙ্গু করতে “অর্থনৈতিক যুদ্ধ”।

তিনি এবং তার মিত্ররা এই সব পদক্ষেপ সত্ত্বেও, তাদের কথায়, দেশটির সহনশীলতার প্রশংসা করেন যদিও তারা এর আগে তাদের অর্থনৈতিক কষ্ট এবং অভাবের জন্য নিষেধাজ্ঞাকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছে ।

দেশটির নির্বাচন কর্তৃপক্ষ এবং শীর্ষ আদালত দাবি করেছে যে মাদুরো গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন তবে তারা বিস্তারিত ফলাফল প্রকাশ করে নাই।

সরকার তাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্র করার জন্য বিরোধী দলকে অভিযুক্ত করেছে এবং বলছে তারা বিরোধীদলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এডমুন্ডো গোন্জালেজ নির্বাসন থেকে দেশে ফিরে আসলে তাকে তারা গ্রেপ্তার করবে। সরকার এরই মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দলীয় সদস্য ও সক্রিয়বাদীদের প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানের আগেই গ্রেপ্তার করেছে।

বিরোধী দল বলছে ৭৫ বছর বয়সী গোন্জালেজ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিজয়ী হন। তারা প্রমাণ স্বরূপ নিজেদের ভোটের হিসাব প্রকাশ করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশর সরকারের সমর্থন পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে গোন্জালেজই হচ্ছেন নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।

যুক্তরাষ্ট্র ও একাধিক সরকারের প্রচণ্ড চাপ সত্ত্বেও চীন, রাশিয়া ও ইরানের সমর্থনে মাদুরো ক্ষমতা আঁকড়ে আছেন।

সর্বশেষ সংবাদ

যুদ্ধ শেষ করতে রাজি হলেন নেতানিয়াহু

যুদ্ধবিরতি ও বন্দীবিনিময় চুক্তির প্রথম ধাপ বাস্তবায়ন হয়ে গেলে চলমান সহিংসতা বন্ধ করতে রাজি হয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ