spot_img

সপরিবারে বড়দিন পালন করায় সালাহকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

অবশ্যই পরুন

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন পালিত হয়েছে গতকাল বুধবার। ক্রীড়াঙ্গনের অনেকে বিশেষ এই দিনটি পালন করেছেন। অনেকেই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। তেমনই একজন মিশরের তারকা ফুটবলার মোহামেদ সালাহ। যিনি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলছেন লিভারপুলের হয়ে। তিনি সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবছরই সপরিবারে বড়দিন পালনের ছবি দিয়ে থাকেন।

এবারও ছবি পোস্ট করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ নিয়ে ভক্তদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এই ছবি দেখে তার ওপর ক্ষেপেছেন অনেক মুসলিম ধর্মাবলম্বী ভক্ত। আবার অনেকেই তাকে বাহবা দিচ্ছেন।

বুধবার একটি ক্রিসমাস ট্রি’র সামনে বসে বড়দিন উৎসবের ছবি দেন এই মিশরীয় তারকা। যেখানে দুই সন্তান ও স্ত্রীর সঙ্গে তাকে বিশেষ পোশাক পরতে দেখা যায়। সাধারণত বড়দিনের উৎসবে খ্রিষ্টধর্মীয় ফুটবলাররা যেভাবে দিনটি পালন করেন, তেমনই সাজ দেখা গেছে সালাহর পরিবারেও। যেটি সহজভাবে নেননি ভক্তরা। এ নিয়ে তারা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা করেছেন।

ইনস্টাগ্রামে সালাহর অনুসারী ৬৩.৮ মিলিয়ন। ফেসবুকে তার অনুসারী ১৬ মিলিয়ন। এক্সে (টুইটারে) তার অনুসারী ১৯ দশমিক ১ মিলিয়ন। তিনটি প্ল্যাটফর্মেই তিনি ছবি পোস্ট করতেই সমালোচনা শুরু হয়েছে। আবার অনেকেই তাকে সমর্থন জানাচ্ছেন।

View this post on Instagram

A post shared by Mohamed Salah (@mosalah)

ফেসবুকে একজন তার সমালোচনা করে লেখেন, সালাহ এটি কী করলেন আপনি? ভুলে যেয়েন না আপনি একজন মুসলিম।

আরেকজন লেখেন, আমি অবাক হচ্ছি, মোহামেদ সালাহ আপনি দিন দিন কত নিচে নামছেন। ধর্মকে ভুলে যেয়েন না। আরেক অনুসারী মন্তব্যে লেখেন, মুসলমান ক্রিসমাস পালন করছে, বিস্ময়কর!

আরেকজন তো আরও এক হাত নিয়েছেন এই তারকাকে। তিনি লেখেন, এই পোস্টের মাধ্যমে আগামী ১০ বছরের জন্য স্পন্সরশিপ পাওয়ার পথ সুগম করলেন তিনি।

তবে সমালোচনা হলেও খ্রিস্টধর্মাবলম্বী ভক্তরা তার এই পোস্টে ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তার প্রতি ধন্যবাদও জানিয়েছেন।

সালাহর প্রশংসা করে এক ভক্ত লেখেন, ওহহ মিশরীয় কিং আমরা আপনার এই পোস্টের জন্যই অপেক্ষা করছি।আরেকজন লেখেন, সালাহ আপনি দারুণ। ধর্মের ওপরে মানবতা। ভালোবাসি আপনাকে।

সর্বশেষ সংবাদ

সহসাই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর সম্ভাবনা নেই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, মিয়ানমার সীমান্তের প্রায় শতভাগ আরাকান আর্মির দখলে চলে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন নিয়ে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ