spot_img

ডর্টমুন্ডকে নিস্তব্ধ করে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে বার্সেলোনা

অবশ্যই পরুন

চ্যাম্পিয়নস লিগে রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ের পর বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। ম্যাচে দুইবার পিছিয়ে পড়েও সমতায় ফেরে জার্মান ক্লাবটি। তবে তৃতীয়বার পিছিয়ে পড়ার পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি নুরি সাহিনের শিষ্যরা। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে কাতালানরা। এই ম্যাচে বদলি নেমে জোড়া গোল করেছেন ফেরান তোরেস। আরেকটি গোল করেছেন অধিনায়ক রাফিনহা।

এই জয়ের পর চ্যাম্পিয়নস লিগের পয়েন্ট তালিকায় ২ নম্বর স্থানটা সুদৃঢ় করেছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল। ৬ ম্যাচে ৫ জয় ও ১ হারে বার্সার পয়েন্ট এখন ১৫। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট ৬ ম্যাচে ১৮। অন্যদিকে এই হারে পয়েন্ট তালিকার নয়ে নেমে গেছে ডর্টমুন্ড। ৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১২।

ডর্টমুন্ডের মাঠ সিগন্যাল ইদুনা পার্কে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দুইটায় মুখোমুখি হয় দুদল। ম্যাচের ৫ মিনিটের মধ্যে বার্সেলোনা অন্তত দুটি সুযোগ তৈরি করে। কিন্তু ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় গোল পায়নি। শুরুর ধাক্কা সামলে জবাব দিতে শুরু করে ডর্টমুন্ডও। পরপর একাধিক আক্রমণেও যায় তারা। তবে গোল মেলেনি। এর মধ্যে ১৪ মিনিটে লামিনে ইয়ামালের দারুণ এক পাসে অল্পের জন্য গোল করতে পারেননি রাফিনহা।

তবে ম্যাচ যতই এগিয়েছে ডর্টমুন্ডের সুযোগও তৈরি হয়েছে বেশ কিছু। কিন্তু প্রথমার্ধে কোনো দলই জোল খুঁজে পাচ্ছিল না। বিরতি থেকে ফেরার পরও দু’দলের খেলার ধাঁচ ছিল একই। দ্বিতীয়ার্ধের পর ৫ মিনিটের সময় দর্শকদের আনন্দে ভাসিয়ে লিড নেয় স্বাগতিক ডর্টমুন্ড। তবে সেই উচ্ছ্বাস বেশিক্ষণ থাকেনি। অফসাইডের কারণে বাতিল হয় ওই গোলটি। ডর্টমুন্ডের গোল বাতিলের হতাশার মধ্যেই ম্যাচের ৫৩ মিনিটে এগিয়ে স্কোরশিটে নাম তোলেন বার্সা অধিনায়ক রাফিনহা। দানি ওলমোর থ্রু পাস ধরে দারুণ ফিনিশিংয়ে লক্ষ্যভেদ করেন নম্বর ইলেভেন।

গোলের পর আত্মবিশ্বাসী বার্সা বেশ কয়েকবার আক্রমণে গেলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। এর মধ্যে ম্যাচের ৫৯ মিনিটে পেনাল্টি পায় ডর্টমুন্ড। বক্সের ভেতর সেরহো গুইরাসিকে পেছন থেকে ফাউল করে ফেলে দেন পাউ কুবারসি। পেনাল্টি থেকে গোল করে গুইরাসিই সমতায় ফেরান ডর্টমুন্ডকে। ৬৮ মিনিটে গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেল ত্রাতা হয়ে বাঁচিয়ে দেন ডর্টমুন্ডকে।

স্বাগতিকদের ওপর চাপ বাড়িয়ে বার্সা অবশ্য ঠিকই ব্যবধান ২–১ করে ফেলে ম্যাচের ৭৫ মিনিটে। বার্সার প্রথম প্রচেষ্টা কোবেল ফিরিয়ে দিলেও দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ঠিকই বল জালে জড়ান বদলি নামা ফেরান তোরেস। তবে এই লিড ৩ মিনিটের বেশি ধরে রাখতে পারেনি তারা। ৭৮ মিনিটে বার্সা গোলরক্ষকের সামনে বেরিয়ে আসার সুযোগ নিয়ে দারুণ এক আক্রমণ নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন গুইরাসি।

তবে জমজমাট ম্যাচে ৮৫ মিনিটে বুদ্ধিদীপ্ত এক শটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন তোরেস। এরপর ম্যাচের বাকি সময়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেছে ডর্টমুন্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমতাসূচক গোলটি আর আসেনি। হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় জার্মান ক্লাবটিকে।

একই রাতের অন্য ম্যাচে মোনাকোকে ৩–০ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল। এই জয়ের পর তালিকার তিনে উঠে এসেছে ‘গানাররা’। ৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৩। এ ছাড়া আরেক ম্যাচে রেড স্টার বেলগ্রেডকে ২–১ গোলে হারিয়েছে এসি মিলান। ১২ পয়েন্ট নিয়ে ১২ নম্বরে আছে মিলান।

সর্বশেষ সংবাদ

বিপদে মৃত্যু কামনা করা কি জায়েজ?

ক্ষণস্থায়ী পৃথিবী মুমিনের জন্য পরীক্ষার হলের মতো। পরকালে সফল হতে অবশ্যই এই পরীক্ষায় সফলকাম হতে হবে। এরপরই মিলবে কাঙ্ক্ষিত...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ