একই ম্যাচে গোল পেলেন ভিনিসিউস জুনিয়র, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও জুড বেলিংহাম। রিয়াল মাদ্রিদও পেল স্বস্তির জয়। তাতে চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা দুই হারের পর এবার ঘুরে দাঁড়ালো লস ব্লাঙ্কোজরা। ফিরলো প্রতিযোগিতায়।
প্রতিপক্ষের মাঠে জয় পেতে অবশ্য ভালোই ঘাম ঝরাতে হয়েছে রিয়ালকে। নিজেদের মাঠে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও আধিপত্য দেখিয়েছে আতালান্তা। অবশ্য, শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলে জিতেছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
জয়ে ফিরতে মরিয়া রিয়াল ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই প্রথম আক্রমণ করে। তবে কিলিয়ান এমবাপ্পের নেয়া শট ফিরিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। অবশ্য ফরাসি তারকাকে বেশিক্ষণ আটকে রাখা সম্ভব হয়নি।
তবে প্রায় ২৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার গিউইস স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে দিতে খুব বেশি সময় লাগেনি তার। ১০ মিনিটেই ব্রাহিম দিয়াজের পাস থেকে মাদ্রিদের ক্লাবটিকে এগিয়ে দেন এমবাপ্পে। চ্যাম্পিয়নস লিগে যা তার ৫০তম গোল।
চার মিনিট পর দ্বিতীয় গোল পেতে পারতেন তিনি। তবে এবার তার শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। এদিকে শুরুর ধাক্কা সামলে পাল্টা আক্রমণে ভীতি ছড়াতে থাকে আতালান্তা। তবে বারবার আক্রমণ শানালেও অবশ্য জালে বল জড়াতে পারছিল না তারা।
এর মাঝেই বড় একটা ধাক্কা খায় রেয়াল। চোট পেয়ে ৩৬তম মিনিটে মাঠ ছাড়েন এমবাপ্পে। তার বদলি আরেক ফরোয়ার্ড রদ্রিগো। এদিকে বিরতির ঠিক আগে সমতা ফেরায় আতালান্তা। যোগ করা সময়ে পেয়ে যায় প্রথম গোল।
বক্সের মধ্যে জিয়াদ কোলাসিনাচকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন শুয়ামেনি। স্পটকিক থেকে সমতা টানেন বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড দে কেটেলার। ১–১ সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।
আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে তিন মিনিটে ভালো দুটি আক্রমণ করে আতালান্তা। ৫৪তম মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত তারা, বক্সের বাইরে থেকে লুকমানের শট ঝাঁপিয়ে ফেরান কোর্তোয়া।
এর মাঝেই ৫৬ মিনিটে রিয়ালকে আবারো এগিয়ে দেন ভিনিসিউস জুনিয়র। আতালান্তার খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে আসা বল বক্সে পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় নিচু শটে জালে জড়ান তিনি।
৩ মিনিট ব্যবধানে স্কোরশিট ৩-১ করেন জুড বেলিংহাম। সেই ভিনিসিউসের বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে নিচু কোনাকুনি শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ইংলিশ তারকা। তাতে চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা ১২ ম্যাচের গোলখরা কাটিয়ে ওঠেন বেলিংহাম।
পাল্টা আঘাত হানতে দেরি করেনি আতালান্তা। ৬৫তম মিনিটে বক্সে লুকাস ভাসকেসের বাধা সামলে জোরাল শটে কাছের পোস্ট ঘেঁষে ঠিকানা খুঁজে নেন নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড লুকমান। ব্যবধান তখন ৩-২। হতে পারে যেকোনো কিছুই।
সমতা ফেরানোর লোভে রিয়াল মাদ্রিদকে আরও চেপে ধরে আতালান্তা। তাদের আক্রমণের তোড়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। যোগ করা সময়ে মাতেও রেতেগির শট বারের ওপর দিয়ে না গেলে অন্তত ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত আতালান্তা।
এ জয়ে ছয় ধাপ এগিয়ে পয়েন্ট তালিকার ১৮ নম্বরে উঠে এসেছে রিয়াল। আতালান্তার অবস্থান নয়ে।