spot_img

সীমান্তের ওপারে বসে স্বৈরাচার নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করছে : মির্জা ফখরুল

অবশ্যই পরুন

পতিত স্বৈরাচার সীমান্তের (৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেখানে অবস্থান করেছেন তিনি) ওপারে বসে আছে। সেখানে বসে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে ঢাকাস্থ ঠাকুরগাঁও ছাত্র পরিষদের ছাত্র কনভেনশন-২০২৪ -এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

পতিত স্বৈরাচারদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যেটা অর্জন করেছি সেটা যেন বৃথা না যায়। কারণ, সীমান্তের ওপারে স্বৈরাচার বসে আছে। বসে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করছে। প্রতিমুহূর্তে একেকটা ঘটনা ঘটিয়ে সেটাকে সারাবিশ্বে দেখাতে চায়। বাংলাদেশ নাকি মৌলবাদীদের দেশ হয়ে গেছে! বাংলাদেশে নাকি সংখ্যালঘু ভাইদের নির্যাতন করা হচ্ছে! ভারতের পত্রপত্রিকা ও সামাজিকমাধ্যমে এমনভাবে লেখা হচ্ছে, যেন বাংলাদেশে এসব নিকৃষ্ট ঘটনা ঘটছে।

তিনি বলেন, আমি কথাগুলো এই জন্য বলছি যে আমাদের এই আনন্দে থাকার অবকাশ নাই যে আমরা জিতে গেছি। সব হয়ে গেছে। আমাদের মাথার উপর খড়গ এখনো আছে। নতুন করে তারা চেষ্টা করছে আবারো অন্ধকারে নিয়ে যাবার। সেজন্য সজাগ থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে। কোনোরকম হঠকারিতা, কোনো বিশৃঙ্খলা যেন কেউ করতে না পারে সেটাকে রুখে দিতে হবে।

বিএনপির মহাসচিব দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমি খুব কষ্ট পাই যখন দেখি ছেলেরা-ছেলেরা কলেজে কলেজে মারামারি করছে। সোহরাওয়ার্দী-মোল্লা কলেজ মারামারি করে রক্তাক্ত হচ্ছে। এটাতো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এটা একটা ষড়যন্ত্র।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে যে অসাধারণ কাজ করেছ, দানবের থেকে দেশকে রক্ষা করেছ, এটা ছোট কথা নয়। আমরা এখনো কিন্তু সে ক্রান্তি পার হইনি, কেবল একটা ধাপ গেছি।

ছাত্ররা যখন বুক পেতে দিয়েছে, রক্ত ঝরিয়েছে তখনই মুক্তি এসেছে। আমি বার বারই বলি, আমাদের মুক্তির ভ্যানগার্ড হচ্ছে ছাত্ররা, যোগ করেন বিএনপির মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই আন্দোলনে সবার আগে ছাত্রদের নাম। তবে কতজন রিকশা শ্রমিক বা শ্রমিক প্রাণ দিয়েছে তাদের খবর রাখতে হবে। আমি পঙ্গু হাসপাতালে গিয়েছিলাম ছাত্রদের দেখতে। সেখানে গিয়ে দেখলাম প্রায় ৪০ শতাংশই শ্রমিক। তাদের খবর রাখাটাও আমাদের জন্য জরুরি।

তিনি বলেন, আমরা একেবারেই জীবনের শেষ প্রান্তে, একটায় আশা ছিল যেন জীবদ্দশায় দেখে যেতে পারি দানবের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছি। আমি আশঙ্কায় ছিলাম, বেগম খালেদা জিয়া কি দেখে যেতে পারবেন দেশ মুক্ত হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, তিনি দেখে যেতে পারছেন।

 

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতীয় মিডিয়ার ভুল প্রচারণার বিরুদ্ধে সত্য দিয়ে লড়াই করুন: প্রেস সচিব

ভারতীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ও তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভুল তথ্য মোকাবিলায় ভারতীয় গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে নারী প্রতিবেদক...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ