আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, জুলাই গণহত্যার ঘটনায় ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সকল ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া মত প্রকাশের অপরাধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে যেসব মামলা ছিল, সেগুলোও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনের কাজের অগ্রগতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বলেন। তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে সারাদেশে আইন কর্মকর্তাদের একটি বড় অংশ পালিয়ে গিয়েছিল। তবে বর্তমান সরকার সাড়ে ৪ হাজার আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে, যার ফলে মামলার নামে হয়রানি এবং বাণিজ্য বন্ধ হবে।
তিনি আরও জানান, এসব পদক্ষেপ ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ের অরাজকতা ও অপব্যবহার রোধ করতে সহায়ক হবে।
উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেশি ও বিদেশি বিচারক নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে এবং দুই এক দিনের মধ্যেই বিদেশি বিচারক নিয়োগ সম্পন্ন হবে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আগামীকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩ সংশোধন করার অনুমোদন দেওয়া হবে। সংশোধন হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলাগুলোর সঠিক বিচার হবে।
এসময় তিনি বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনকে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আহ্বান জানান এবং পিপি ও জিপি’র স্থায়ী নিয়োগের জন্য একটি নতুন আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ার কথা জানান।
এই আইনের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, এই নতুন আইন প্রণয়ন হলে পিপি ও জিপি নিয়োগে তদবির বন্ধ হবে এবং পেশাগত সততা প্রতিষ্ঠা হবে। জনগণের অধিকার রক্ষায় বিচার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করাই এখন প্রধান লক্ষ্য বলেও জানান তিনি। বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের যে নতুন অধ্যাদেশ হবে সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর বিচারের সুপারিশ থাকবে।