নিজেকে ফিট রাখতে অনেকেই খাদ্যতালিকায় ভাতের পরিমাণ কমিয়ে রুটি খান। কেউ দিনের শুরু করেন রুটি দিয়ে আবার অনেকেই দেখা যায় সকালের পাশাপাশি দুপুরেও রুটি খাচ্ছেন। তবে প্রথন থেকে যায় দুইবেলা রুটি খেলে আমাদের শরীরে কেমন প্রভাব পড়ে। এই অভ্যাস শরীরের জন্য উপকারী নাকি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে সেটা অনেকেই জানে না। এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন অনেক পুষ্টিবিদ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দিনে দুইবার রুটি খাওয়া প্রসঙ্গে পুষ্টিবিদ কোয়েল পাল চৌধুরির মতামত উঠে এসেছে।
পুষ্টিবিদ জানান, আমাদের শরীরে শক্তির জোগান দেয় কার্বোহাইড্রেট। আর রুটি কার্বোহাইড্রেটে ভরপুর। তাই শরীরে শরীরে ঘাটতি কাটাতে রুটি ভূমিক রাখে। শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৬, বি৯, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, সোডিয়ামের মতো জরুরি ভিটামিন ও খনিজ।
দিনে দুইবেলা রুটি খাওয়া: ফিট থাকার জন্য দিনে দুই বেলা রুটি খাওয়া প্রসঙ্গে কোয়েল পাল চৌধুরি জানান, এখন অনেকেই দিনে দুইবেলা আটার রুটি খান এতে সমস্যা নেই। এতে করে সহজে সুগার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এমনকি যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য এটা দারুণ উপকারী। সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও আর কাছে ঘেঁষার সুযোগ পাবে না। তাই আর সময় নষ্ট না করে যত দ্রুত সম্ভব রুটি খাওয়া শুরু করে দিন।
ডায়াবেটিস থাকলে সাবধান: যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ভাতের পরিবর্তে রুটি খেতে বলেন চিকিৎসকরা। তাদের রুটি খাওয়ার ক্ষেত্রেও চিকিৎসকরা বিভিন্ন নিয়ম বেঁধে দেন। তবে অনেক ডায়াবেটিসে রোগীরা ভাবেন রুটি খেলে তাদের সুগার লেভেল বাড়ে না। তাই তারা একসঙ্গে অনেক বেশি রুটি খেয়ে ফেলেন। চিকিৎসকরা এমন করতে নিষেধ করেন। কারণ অনেক বেশি রুটি খেলেও সুগার লেভেল বৃদ্ধি পায়।
অ্যাসিডিটির সমস্যায় রুটি: অনেকের রুটিতে থাকা গ্লুটেন সহ্য হয় না। গ্লুটেন মূলত এক ধরনের জটিল প্রোটিন। এর কাগুজে নাম প্রোলামিন। গম, রাই, বার্লিতে থাকে। গ্লুটেন এক ধরনের আঠালো পদার্থ, যা খাবারটিকে বেক করার সময় ফুলে উঠতে সাহায্য করে। মূলত রুটি, পাউরুটি, পাস্তা, কেক, চিপস, সস, বিয়ার—এসব খাবার ও পানীয়তে গ্লুটেন থাকে।
যাদের গ্লুটেনে সমস্যা তারা অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন। অনেক সময় দেখা যায় এ থেকে তাদের পেটে সমস্যা হচ্ছে। তাই যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে রুটি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।