সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আমির খান বলেন, ‘এত সিনেমা একসঙ্গে নেওয়ার বিশেষ কারণ আছে। যখন সিদ্ধান্ত নিলাম, ঠিক আছে, এখনই অভিনয় ছাড়ব না, আরও কিছুদিন করব। এরপরই যে চিন্তাটা মাথায় এল, তা হলো, আর কত বছর কর্মক্ষম থাকতে পারব? হয়তো সর্বোচ্চ আর ১০ বছর কাজ করে যেতে পারব।’ তার হাতে এখন একটি-দুটি নয়, ছয়টি সিনেমা। দিন রাত কাজ করছেন।
চার দশকের ক্যারিয়ার আমির খানের। বলিউডের মাসালা সিনেমার ভিড়ে খানিকটা অন্য ধরনের কাজের কথা উঠলেই আসে তাঁর নাম। নিজের কাজ নিয়ে এতটাই খুঁতখুঁতে থাকেন যে আমিরের আরেক নাম হয়ে গেছে মিস্টার পারফেকশনিস্ট।
তার ‘লাল সিং চাড্ডা’ সিনেমা সুপার ফ্লপ হলে সিনেমা ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। সেই ডিপ্রেসন কাটিয়ে এখন আর ও ১০ বছর কাজ করার ঘোষণা দিলেন।
আমির বলেন, ‘জীবনের তো কোনো ভরসা নেই। আমি কালও মারা যেতে পারি। সে জন্য, আমার ভাবনা হচ্ছে, বড়জোর আর ১০টা বছর আমি সুস্থ-সবলভাবে অভিনয় করে যেতে পারব। এখন আমার ৫৯ চলছে। আশা করা যায়, ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত কর্মক্ষম থাকতে পারব। এ কারণেই ভেবেছি, জীবনের শেষ ১০টা বছর আমি সবচেয়ে বেশি কাজ করব। লেখক, পরিচালক, অভিনেতা— অনেক নতুন প্রতিভা তুলে আনতে চাই। ৭০ বছর বয়সে অবসর নেওয়ার আগে, নতুনদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠতে চাই আমি। সে কারণে, অনেক সিনেমা হাতে নিচ্ছি।’
২০২২ সালে যখন আমির অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, প্রথম আপত্তি এসেছিল পরিবার থেকেই। স্ত্রী বলেছিলেন, ‘সারা দিন বাসায় বসে থাকবে, কিছুই করবে না—এটা কি তুমি নিজেও ভাবতে পারছ?’ মেয়ে বলেছিলেন, ‘প্লিজ পাপা, সারাক্ষণ তুমি আমাদের সঙ্গে বাসায় থাকতে পারবে না। আমরা পাগল হয়ে যাব।’ হলিউড রিপোর্টারের সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়ে হাসতে হাসতে আমির বললেন, ‘অবসর জীবনটা আমার ভালোই লাগবে। বই পড়ব, ইয়োগা করব।’ সূত্র বলিউড রিপোর্টার ম্যাগাজিন