বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় চাঞ্চল্যকর উম্মে সালমা (৫০) হত্যায় ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমান (১৯) র্যাবের কাছে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেও পুলিশি রিমান্ডে তা অস্বীকার করেছে।
অপরদিকে, পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সমন্বয়ে হত্যার রহস্য উদঘাটনে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিহত সালমার খোয়া যাওয়া দু’টি মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ১৪ নভেম্বর রাতভর অভিযান চালিয়ে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন সাদদের বাসার চারতলার ভাড়াটিয়া উপজেলার চামরুল ইউনিয়নের উত্তর সাজাপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর স্ত্রী মাবিয়া বেগম (৫০), তার সহযোগী গুনাহার ইউনিয়নের তালুচ পশ্চিমপাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে মোসলেম উদ্দিন (২৬) ও একই এলাকার নিখিল রবিদাসের ছেলে ভ্যানচালক সুমন রবি দাস (২৮)।
তাদের দেয়া তথ্যমতে পুলিশ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে নিহত উম্মে সালমার দু’টি মোবাইল ফোন ও তাদের বাসার একটি ওয়াইফাই রাউটার ও একটি চাবি উদ্ধার করেছে।
পুলিশ ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, সাদের বাসার চতুর্থ তলায় ভাড়া থেকে অনৈতিক কার্যকলাপ করতেন মাবিয়া। বাসায় বিভিন্ন পুরুষের আনাগোনা লেগেই থাকতো। সাদের মা এসব বিষয়ে বার বার নিষেধ করলেও না শোনায় তাকে বাসা ছেড়ে দিতে বলতেন। এতে মাবিয়ার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। এ ক্ষোভ থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণ করা হচ্ছে।