spot_img

সিজদা একমাত্র আল্লাহর জন্য

অবশ্যই পরুন

সিজদা একমাত্র আল্লাহর জন্য। সিজদা আল্লাহর হক। আল্লাহ ছাড়া কাউকে সিজদা করা নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর এই যে মসজিদগুলো আল্লাহরই জন্য। সুতরাং তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ডেকো না।’ (সুরা জিন, আয়াত : ১৮)

পৃথিবীর সব কিছু মহান আল্লাহর জন্য সিজদা করে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর আল্লাহকে সিজদা করে যা কিছু আছে নভোমণ্ডলে ও ভূমণ্ডলে ও তাদের ছায়া সকালে ও সন্ধ্যায় ইচ্ছায় ও অনিচ্ছায়।’ (সুরা রাদ, আয়াত : ১৫)

অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি কি দেখ না যে আল্লাহকে সিজদা করে যা কিছু আছে নভোমণ্ডলে ও ভূমণ্ডলে, সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্ররাজি, পর্বতরাজি, বৃক্ষলতা, জীবজন্তু ও বহু মানুষ। আর বহু মানুষ (যারা সিজদা করতে অস্বীকার করেছে) তাদের ওপর শাস্তি অবধারিত হয়েছে। বস্তুত আল্লাহ যাকে লাঞ্ছিত করেন তাকে সম্মানদাতা কেউ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ যা চান তাই-ই করেন।’ (সুরা হজ, আয়াত : ১৮)
মানুষ ও জিনের মধ্যে যারা বিনয় ও আনুগত্যের সাথে আল্লাহকে সিজদা করে তারা বিশেষভাবে আল্লাহর সন্তোষ লাভ করে। আল্লাহ বলেন, ‘শুধু তারাই আমার নিদর্শনগুলো বিশ্বাস করে, যাদের তা স্মরণ করিয়ে দিলে তারা সিজদায় লুটিয়ে পড়ে ও তাদের প্রতিপালকের পবিত্র মহিমা কীর্তন করে এবং অহংকার করে না।’ (সুরা সাজদা, আয়াত : ১৫)

কিছু মানুষ গভীর রাতে মহান আল্লাহকে সিজদা করার জন্য দাঁড়িয়ে যায়। তাঁদের প্রশংসা করে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে সিজদায় কিংবা দাঁড়িয়ে আনুগত্য প্রকাশ করে, আখেরাতকে ভয় করে ও তার প্রতিপালকের অনুগ্রহ প্রত্যাশা করে (সে কি তার সমান, যে তা করে না)।’ (সুরা জুমার, আয়াত : ৯)
মহান আল্লাহ শুধু মানব ও জিন জাতির ওপর ইবাদতের দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। তবে উপরে বর্ণিত সিজদা সংক্রান্ত আয়াতগুলো গভীরভাবে লক্ষ করলে দেখা যায়, আল্লাহর সব সৃষ্টি তাঁর ইবাদত করে। এমনকি জড় বস্তুও আল্লাহর পবিত্র মহিমা ঘোষণা করে, আল্লাহকে সিজদা করে। আল্লাহ বলেন, ‘…তারকা ও বৃক্ষাদি সিজদারত আছে।’ (সুরা আর-রহমান, আয়াত : ৬)

সিজদা সংক্রান্ত উপরোক্ত আয়াতগুলোর মাধ্যমে দেখা যায় যে নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সবাই আল্লাহকে সিজদা করে। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে মানুষের মধ্যে অনেকে তাঁকে সিজদা করে, আবার অনেকে সিজদা করে না। এদের সম্পর্কে দয়াময় আল্লাহ বলেন, ‘এক দলকে আল্লাহ হেদায়েত দিয়েছেন আর আরেক দলের ওপর ভ্রষ্টতা নির্ধারিত হয়ে গেছে। তারা আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছে এবং ভেবে নিয়েছে যে তারা সুপথপ্রাপ্ত হয়েছে।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ৩০)

এ পৃথিবী মানুষের জন্য একটা অসাধারণ ও কঠিন পরীক্ষা কেন্দ্র। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘মহিমাময় তিনি যিনি সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী, তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন তোমাদের পরীক্ষার জন্য যে কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।’ (সুরা মুলক, আয়াত : ১-২)

মহান আল্লাহ আরো বলেন, ‘মানুষ কি মনে করে যে আমরা ঈমান এনেছি’ একথা বললেই তাদের পরীক্ষা না করে অব্যাহতি দেওয়া হবে? আমি (আল্লাহ) তাদের পূর্ববর্তীদেরও পরীক্ষা করেছিলাম। আল্লাহ অবশ্যই জেনে নিবেন কারা সত্যবাদী ও কারা মিথ্যাবাদী। যারা মন্দ কাজ করে তারা কি মনে করে যে তারা আমার আয়ত্তের বাইরে থেকে যাবে? তাদের সিদ্ধান্ত কতই মন্দ!’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত : ২-৪)

সর্বশেষ সংবাদ

হারের বৃত্তে বিধ্বস্ত ম্যানসিটি, গড়ছে লজ্জার ইতিহাস

দুঃসময়ের বেড়াজালে যেন আটকা পড়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। টানা চারবারের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা যেন নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে৷ গত দেড়...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ