ফিরতে লিখিত আবেদন করছেন- ক্ষমা চাচ্ছেন মমতার কাছেও। যাকে বলা হচ্ছে মোহভঙ্গ। তবে তাদের আবারো দলে ফেরানো হবে কিনা- সেই সিদ্ধান্ত নিতে মঙ্গলবার বৈঠকে বসছে তৃণমূল।
সবশেষ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমুল ছেড়ে বিজেপি যোগ দেয়ার হিড়িক পরে। টালিউড তারকা থেকে দলের অনেক পুরানো নেতাও বাদ যাননি। বিশেষ বিমানে গিয়েও দিল্লিতে গিয়ে দলবদল করেন অনেক তৃণমূল নেতা।
নির্বাচনে তৃণমূলের ভুমিধস বিজয়ে আবারো দলবদলের ইঙ্গিত। পাল্টাতে শুরু করেছে সমীকরণ। শুরুটা সোনালী গুহকে দিয়ে এরপর সরলা মুর্মু। সাবেক বিধায়ক অমল আচার্য। পুরোনো দলে ফিরতে মরিয়া এই রাজনীতিবিদ। চিঠির মাধ্যমে লিখিত আবেদনও করেছেন তৃণমূলের কাছে।
রাজ্যের সাবেক বিধায়ক ও ডেপুটি স্পিকার সোনালী এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মনোনয়ন না পেয়ে বিজেপিতে চলে যান। তবে বিজেপিও তাকে প্রার্থী করেনি। আর নির্বাচনেও ভরাডুবি হয় পদ্মশিবিরের। এরপরই মোদির দল ছাড়তে ছাড়ার কথা প্রকাশ্যেই বলেন সোনালী। এমনকি টুইটারে আবেগঘন টুইট করে দিদির কাছে ক্ষমাও চান।
অন্যদিকে মালদা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সরলা মুর্মুকে নির্বাচনে প্রার্থী করেও দলে ধরে রাখতে পারেনি তৃণমূলে। চলতি বছরেই যোগ দেন মোদির দলে। তবে নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের পরই এই প্রভাবশালী নেতা বলছেন, তাকে ভুল বুঝিয়ে বিজেপিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। জানালেন, গেরুয়া শিবিরের সহিংস রাজনীতি পছন্দ হচ্ছে না বলেই, ফিরে যেত চান নিজের পুরোনো দল তৃণমূলে।
বিজয়ের পরপরই মমতার ঘরে ফিরতে মরিয়া দলছুটেরা। সোনালী, সরলাদের পিছু পিছু ৬ থেকে ৭ জন রাজনীতিক তৈরি আছেন সে তালিকায়।
তবে এখনই কোন মন্তব্য করতে নারাজ তৃণমূল নেতারা। তারা বলছেন, শুধু সোনালি গুহ কিংবা সরলা মুর্মুই নয়, আবারো তৃণমূলে ফিরতে চান অনেক নেতাই। তবে এ বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। মঙ্গলবারের দলীয় বৈঠকে তাদের ভাগ্য নির্ধারিত হতে পারে।