গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি সহিংসতাকে সবচেয়ে ব্যর্থ ও অর্থহীন বলে আখ্যায়িত করেছে দেশটির বামপন্থী দৈনিক পত্রিকা হারেৎস। ইসরায়েলের অভ্যন্তরে যখন এই ধরণের আলোচনা চলছে তখন ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা ইয্যাদ্দিন কাসেম ব্রিগেড দখলদার ইসরায়েলের ছয়টি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চালিয়েছে।
ফিলিস্তিনি একেকটি রকেট ধ্বংস করতে ইসরায়েলকে হাজার হাজার ডলারের খেসারত দিতে হচ্ছে। অর্থাৎ হামাসের রকেট তৈরিতে যে খরচ হচ্ছে, তার চেয়ে সেগুলো ধ্বংস করতে ব্যবহৃত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যব্স্থা আয়রন ডোমের ক্ষেপণাস্ত্রের মূল্য বহুগুণ বেশি।
সোমবার (১৭ মে) ইসরায়েলি গণমাধ্যমের বরাতে আনাদুলু এমন খবর দিয়েছে।
জেরুজালেম পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞ উজি রুবিন বলেন, স্বল্প-পাল্লার একটি কাসেম রকেটে তৈরিতে হামাসের ৩০০ থেকে ৮০০ ডলার খরচ পড়ে। হামাসের সবচেয়ে ভালো রকেটগুলোও সাধারণভাবে নির্মিত, তাতে খরচ বেশি পড়ে না।
কিন্তু এসব রকেট ধ্বংস করতে আয়রন ডোমের একেকটি ক্ষেপণাস্ত্রে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ডলার ব্যয় হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, হামাস সোমবার পর্যন্ত তিন হাজার ১০০ রকেট ছুড়েছে। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেন্নি গানজ বলেন, ১০ মে সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর রকেট ভূপাতিত করতে আয়রন ডোম এক হাজার ইন্টারসেপ্টর ব্যবহার করেছে।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গত সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন যুদ্ধ হচ্ছে। গাজার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে শত শত বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী।