চোখের সামনে সৌরভ গাঙ্গুলী ও রাহুল দ্রাবিড়ের সেঞ্চুরি দেখে, মাত্র ৯ বছর বয়সে ক্রিকেটার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জস বাটলার। ২২ বছর আগে নেয়া সেই সিদ্ধান্তে, জস বাটলার আজ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে টনটনের মাঠে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দেখেছিলেন, সেদিনকার ৯ বছরের জস বাটলার।
জোসেফ চার্লস বাটলার ঘরের মাঠ সমারসেটের টনটনে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে মাঠে বসে দেখেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী ও রাহুল দ্রাবিড়ের তৎকালীন রেকর্ড জুটি। শ্রীলঙ্কার বোলারদের গুড়িয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন দুই ভারতীয়। ৯ বছরের শিশু বাটলার ভারতীয় সমর্থকদের পাশে বসে দেখেছিলেন দুই লিজেন্ডের উন্মাতাল ব্যাটিং। যা তাকে উদ্বুদ্ধ করে পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে উঠতে।
ইংরেজি বাটলার শব্দের অর্থ খানসামা বা প্রধান পরিচালক। আরও সহজ করে বললে সব কাজের কাজী। নামের মতই কাজের শ্রী জস বাটলারের। ব্যাট হাতে তাঁর খুনে চরিত্রকে ভয় পায় না এমন কোন বোলার বা প্রতিপক্ষ ক্রিকেট বিশ্বে এখন আর পাওয়া যাবে না।
ওয়ানডে’তে মূলত ৫ অথবা ৬ নাম্বারে ব্যাট হাতে দেখা যায় বাটলারকে। প্রায় ৩৯ গড়, আর স্ট্রাইকরেটও প্রায় ১১৯! টি-টোয়েন্টিতে গড় ৩০ এর ওপরে আর স্ট্রাইকরেট প্রায় ১৪১। সবমিলে অবিশ্বাস্য তাঁর ফিনিশিং ক্ষমতা। ইংল্যান্ডের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে রয়েছে তাঁর বড় অবদান।
এ বিষয়ে জশ বাটলার বলেন, সৌরভ-দ্রাবিড়ের সেঞ্চুরি, পার্টনারশিপ এগুলো আমাকে মুগ্ধ করতো। চোখের সামনেই দেখেছি বিশ্বকাপে ওদের তিনশো রানের জুটি। যা আমাকে ক্রিকেটার হতে সাহায্য করেছে। আমার ক্যারিয়ারে ওদের প্রভাব রয়েছে।
দ্রাবিড়-সৌরভ দু’জনেরই ক্যারিয়ার শুরু ১৯৯৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ৯৯ বিশ্বকাপে টনটনের ঐ ম্যাচে সৌরভ করেছিলেন ১৮৩, আর দ্রাবিড় ১৪৫। সেই স্মৃতির অনুরণন সবসময় বাটলারের মনে। খুনে ব্যাটিং, প্রতিপক্ষকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা, চাপে থাকা দলকে উদ্ধার করা- এসবই এখন বাটলারের মজ্জাগত। লিমিটেড ওভার ক্রিকেটে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলটির তিনিই প্রথম সুপারস্টার।