ফিলিস্তিনের নিরীহ জনগণের ওপর নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এ নিয়ে টানা ৮দিনের মতো দখলদার বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০০ ছাড়িয়েছে। ইসরায়েলের নৃশংস আগ্রাসনের জবাবে ফিলিস্তিন থেকে ব্যাপক হারে রকেট হামলা চালানো হচ্ছে। যা ২০১৯ ও ২০০৬ সালের চাইতে বেশি। এদিকে দখলদার ইসরাইলের একটি যুদ্ধজাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
সোমবার এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জুদ্দীন আল কাসসাম বিগ্রেড এ হামলার দাবি করেছে বলে ইরানের প্রেস টিভি জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, সোমবার বিকালে কাসসাম ব্রিগেডের সেনারা সাগরে ইসরাইলি যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এছাড়া, কাসসাম ব্রিগেড আজ ইহুদি উপশহর ‘হার্টসলিয়া’-তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তবে এ হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সোমবার ভোরে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকায় নতুন করে সিরিজ বিমান হামলা চালানোর পর এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে হামাসের যোদ্ধারা ইসরাইলের আশকেলান উপকূলে তেল ও গ্যাস উত্তোলন কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
চলমান এ সহিংসতা থামাতে রোববার (১৬ মে) জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল বৈঠকে বসেছিল। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাত বন্ধের আহ্বান সংবলিত ঘোষণা দেওয়ার লক্ষ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তৃতীয় বৈঠকটিও ব্যর্থ হয়েছে। এর আগে রুদ্ধদ্বার দুটি বৈঠকও ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ বৈঠকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে মানুষকে জীবিত ও মৃত উদ্ধারে ইসরায়েলের সঙ্গে সাময়িক অনুমতির চুক্তিতেও পৌঁছাতে পারেনি নিরাপত্তা পরিষদ।