ক্রীড়া বিষয়ক স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন জিনেদিন জিদান। রিয়াল মাদ্রিদ কোচ বলেছেন, ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি তার। তবে মৌসুম শেষে বিষয়টি নিয়ে ভাবার কথা জানিয়েছেন তিনি।
গত সপ্তাহে স্প্যানিশ লা লিগায় সেভিয়ার সঙ্গে ঘরের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করেছিল রিয়াল। মার্কার খবর অনুসারে, ওই ম্যাচের আগের দিনই শিষ্যদের কাছে দল ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন জিদান।
তবে রবিবার রাতে অ্যাথলেতিক বিলবাওয়ের মাঠে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়েছেন রিয়াল কোচ, ‘আমি কীভাবে বলব যে, আমি চলে যাচ্ছি? যখন আমরা সবকিছু দিয়ে প্রাণপণ চেষ্টা করছি (শিরোপা জেতার জন্য)? যখন কেউ বাইরে থেকে কোনো কিছু বলে, তখন তারা যা ইচ্ছা তা-ই বলতে পারে। কিন্তু আমি আমার খেলোয়াড়দের কাছে কখনোই এরকম কিছু বলব না।’
লিগের মাত্র এক রাউন্ড বাকি থাকতে রিয়ালের অর্জন ৩৭ ম্যাচে ৮১ পয়েন্ট। ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। তারা ঘরের মাঠে ২-১ গোলে হারিয়েছে ওসাসুনাকে। ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে গেছে তিনে থাকা বার্সেলোনা। নিজেদের মাঠে তারা ২-১ গোলে হেরেছে সেলতা ভিগোর কাছে।
লিগের শিরোপা জয়ের লড়াই যখন শেষদিনে গড়িয়েছে, তখন কেবল নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা-কল্পনায় বিরক্ত জিদান, ‘মৌসুমের শেষে ভাবা যাবে (থাকা বা না থাকার ব্যাপারটি)। কিন্তু আমি এখন রিয়ালের সঙ্গে আছি এবং (লিগের) শেষ ম্যাচটির দিকে আমার সমস্ত মনোযোগ রয়েছে। আমরা কেবল আমার ভবিষ্যৎ নিয়েই ক্রমাগত কথা বলে যেতে পারি না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো শেষ ম্যাচটি, যেটা খেলা আমাদের বাকি আছে।’
শেষ রাউন্ডে অ্যাতলেতিকো খেলতে নামবে রিয়াল ভায়াদোলিদের মাঠে। আর রিয়াল নিজেদের মাঠে খেলবে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে। অ্যাতলেতিকো ড্র করলে বা হারলে এবং রিয়াল জিতলে শিরোপা উঠবে জিদান ও তার শিষ্যদের হাতে।
পয়েন্ট তালিকার সাতে থাকা ভিয়ারিয়ালের মুখোমুখি হওয়া নিয়ে তার ভাষ্য, ‘ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচটি কঠিন হবে। তাই আমাদের নিজেদের প্রতি মনোযোগী হতে হবে।’
বিলবাওয়ের বিপক্ষে রিয়ালের জয়সূচক গোলটি আসে ৬৮তম মিনিটে। ভাগ্যের ছোঁয়ায় জালের দেখা পান নাচো ফার্নান্দেজ। তবে প্রথমার্ধে পেনাল্টি পেতে পারত লস ব্লাঙ্কোসরা। ২৭তম মিনিটে ডি-বক্সে বিলবাও ফরোয়ার্ড হোন মোর্সিলোর হাতে বল লাগলেও বাজেনি স্পট-কিকের বাঁশি। ভিএআর দেখেও রেফারি পরিবর্তন করেননি সিদ্ধান্ত।
পেনাল্টিবঞ্চিত হলেও তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে নারাজ জিদান, ‘আমরা ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি এবং আবারও ঝামেলায় জড়াতে চাচ্ছি না। আমি মনে করি, রেফারি তার নিজের কাজ যতটা ভালোভাবে সম্ভব করার চেষ্টা করেন এবং এটাই শেষ কথা। এটা সত্যি যে, বল হাতে লেগেছিল। কিন্তু আমি আমার কাজ করি আর রেফারি তার নিজের কাজ করেন।’