ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় তওকত এর আঘাতে ইতোমধ্যেই কর্ণাটক রাজ্যে ৪ জন ও গোয়ায় ২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। কর্ণাটকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (কেএসডিএমএ) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় তওকতের প্রভাবে শনিবার সকাল থেকে রাজ্যের তিন উপকূলীয় জেলাসহ ছয় জেলায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ঝড়ের প্রভাবে রাজ্যের ৭৩টি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ভারতের গোয়া রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকা পানজিমেও আঘাত হেনেছে তওকত। তবে এখন পর্যন্ত সেখানে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, শনিবার দিনগত রাত আড়াইটা নাগাদ এই ঘূর্ণিঝড়টি গোয়া থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার, মুম্বাই থেকে ৪৯০ কিলোমিটার ও গুজরাট উপকূল থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। মঙ্গলবার সকালে গুজরাটের উপকূল, পোরবন্দর ও ভাবনগর জেলার মহুভা এলাকায় আঘাত হানতে পারে বলেও জানানো হয়।
রোববার সকাল থেকেই মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্ণাটক ও গুজরাটসহ ভারতের পশ্চিম উপকূলজুড়েই ঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ, দিউ-এর উপকূলবর্তী অংশে তুমুল বৃষ্টি চলবে।
কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোববার জানান, ঘূর্ণিঝড়টি কর্ণাটকের উপকূলে আংশিকভাবে আঘাত হেনেছে। বিপর্যয় মোকাবিলায় ১ হাজার মানুষ ২৪ ঘণ্টা জরুরি ভিত্তিতে কাজ করছে। ৫০০ করোনা আক্রান্তকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে প্রশাসন। ঝড়ের জন্য বন্ধ হয়েছে বেশ কয়েকটি ট্রেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সূত্র: আনন্দবাজার