শেষ হলো মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা। আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে । ঈদের খুশি ভাষায় প্রকাশ করতে তাই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন, ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক/ দোস্ত দুশমন পর ও আপন/সবার মহল আজি হউক রওনক/যে আছ দূরে যে আছ কাছে/সবারে আজ মোর সালাম পৌঁছে/সবারে জানাই এ দিল্আশক। এদিকে ঈদ-উল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়।
রমজান মাস শেষে ঈদ উৎসবে মাতোয়ারা এখন সারাদেশ। ঈদ আনন্দে শরিক হতে যে যার সাধ্যমতো কেনাকাটাও করেছেন। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে রাজধানী ছেড়ে যাচ্ছে লাখো মানুষ। পথে পথেও তাই বইছে ঈদের খুশি। প্রিয় মানুষের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত, কুশল বিনিময়, পারস্পরিক সহমর্মিতা প্রকাশে ঘরে ফেরার ভোগান্তি মুহূর্তেই ভুলিয়ে দিচ্ছে।
গতকাল শেষ হয় মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা। এরপরই পালিত হবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর। দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে ইতোমধ্যে শুরু করেছে ঈদের আনন্দ। চান্দ্রমাসের হিসাব অনুযায়ী আজ শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেছে কাল শুক্রবার উৎযাপিত হবে ঈদ-উল-ফিতর।
ইসলামী বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন পূর্ণ একমাস সিয়াম সাধনার পর ঈদ উৎসব মুসলমান জাতির প্রতি মহান রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে এক বিরাট নিয়ামত ও পুরস্কার। মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেক সদস্যের আবেগ, অনুভূতি, ভালবাসা, মমতা ঈদের এ পবিত্র ও অনাবিল আনন্দ উৎসবে একাকার হয়ে যায়।
তারা জানান, ঈদ মুসলমানদের জীবনে শুধুমাত্র আনন্দ-উৎসবই নয়, বরং এটি একটি মহান ইবাদত যার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা খুঁজে পায়। ধনী-গরিব, সাদা-কালো, ছোট-বড়, দেশী বিদেশী সবাই ভেদাভেদ ভুলে যায়। সব শ্রেণী ও সব বয়সের নারী-পুরুষ ঈদের জামাতে শামিল হয়ে মহান আল্লাহ্র শুকর আদায়ে নুয়ে পড়ে।
এদিকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্য ভাষন দেন
এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেই ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। বিভিন্ন সামাজিত ও সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় সংগঠনের পক্ষ থেকেও বিস্তারিত কর্মসূচী নেয়া হয়েছে।