ফর্মের তুঙ্গে থাকা সত্ত্বেও গত বছর হঠাৎ করেই অবসরের ঘোষণা দিয়ে ক্রিকেট দুনিয়ায় প্রধান আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠেন পাক পেসার মোহাম্মদ আমির।
এরপর শ্রীলংকা থেকে দেশে ফেরে প্রধান কোচ মিসবাহ ও বোলিং কোচ ওয়াকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। সে সময় আমির ইস্যুতে সরগরম হয়ে ওঠে পাক মিডিয়া। কিছুদিন বিরতির পর ফের গণমাধ্যমের শিরোনামে এই সাবেক পাক পেসার।
এবার ভারতের জমজমাট টি-টোয়েন্টি ফ্রাঞ্চাইজি আসর আইপিএল নিয়ে। আইপিএল খেলতে চান মোহাম্মদ আমির!
এতে যে বাঁধা তার – পাকিস্তানের ক্রিকেটার তিনি। রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের আইপিএলে খেলার অনুমতি দিচ্ছে না ভারত সরকার।
তাহলে কীভাবে আইপিএলে যোগ দেবেন আমির? এরজন্য একটা উপায় বের করেছেন তিনি। যে উপায়ে অগ্রজ সাবেক পাক তারকা অলরাউন্ডার আজহার মেহমুদ আইপিএল খেলেছিলেন।
সেটি হলো – কোনোভাবে ব্রিটেনের নাগরিকত্ব পেলেই আইপিএলে খেলতে পারবেন আমির। ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে টুর্নামেন্টে অংশ নিতে কোনো বাঁধাই থাকবে না।
এর আগে একই প্রক্রিয়ায় আইপিএলে খেলেছেন আজহার মেহমুদ। ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ার পর তিনি ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে পাঞ্জাব কিংস ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ২৩টি ম্যাচ খেলেছেন।
ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ার সুযোগ আমিরেরও রয়েছে। বর্তমানে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে থাকছেন তিনি। ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটেও খেলেছেন তিনি। তার ছেলে-মেয়েরা এখন ইংল্যান্ডেই পড়াশুনা করছে। এককথায় ইংল্যান্ডে থিতু হতে চাইছে আমিরের পরিবার।
স্বাভাবিক কারণেই গণমাধ্যম প্যাক প্যাসন ডট নেট আমিরকে প্রশ্ন করেছিল, ব্রিটেনের নাগরিকত্ব নেওয়ার সুযোগ আপনার সামনে। আইপিএলে খেলার জন্য কি ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করবেন?
আমির বিষয়টি উড়িয়ে না দিয়ে হেসে বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে আমি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ছুটি নিয়ে যুক্তরাজ্যে আছি। তবে হ্যাঁ, আমি এখন ক্রিকেটটা বেশ উপভোগ করছি। আরও ৬ বা ৭ বছর খেলে যেতে চাই। আমার শিশুরা ইংল্যান্ডে বেড়ে উঠবে। সেখানেই পড়াশোনা করবে। তাই কোনো সন্দেহ নেই যে আমি ইংল্যান্ডেই বেশি সময় কাটাব।’
এরপর আমির যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমি আসলে অন্য কোনো সম্ভাবনা বা সুযোগের বিষয়ে ভাবছি না। দেখি ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পাওয়ার পর ভবিষ্যতে কী হয়।’
ভবিষ্যতের কথা বলে আমির এটাই স্পষ্ট করেছেন, ব্রিটেনের নাগরিকত্ব পেলে আইপিএল খেলোর সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। কিংবা আইপিএল প্রশ্নে ব্রিটিশ নাগরিক হতে দেরি করবেন না তিনি।