করোনাভাইরাস সংক্রমণের ‘সুনামি’তে ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়তে বসেছে। দেশটিতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘সার্স-কভ-২’ ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু। প্রতিদিনই ভাঙছে মৃত্যু ও শনাক্তের রেকর্ড। এমন অবস্থায় বন্ধ করে দেয়া হয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) এর ১৪তম আসর। আইপিএল স্থগিত হওয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত ছুটি পেয়ে গেছেন বিরাট কোহলিরা। সামনে রয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। এরপর আবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই টেস্ট সিরিজ। তাতে প্রায় চার মাসের লম্বা সফর কোহলি-রোহিতদের সামনে।
এমন অবস্থায় বিরাট কোহলিরা নিতে যাচ্ছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবিত যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘কোভিশিল্ড’ নামের টিকা।
কিন্তু ভারতে আছে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট। তারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উৎপাদন করছে। তাছাড়া ভারতের প্রতিষ্ঠান বায়োটেক উদ্ভাবন করেছে কো-ভ্যাকসিন। তবে ভারতীয় ক্রিকেটাররা কোভ্যাক্সিন না দিয়ে নেবেন কোভিশিল্ড টিকা। এর একটা কারণও আছে।
বোর্ডের একটি সূত্র ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কোভিশিল্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। এটি ইংল্যান্ডের কোম্পানির। যেহেতু দলকে সেখানে চার মাসের মতো থাকতে হবে তাই ইংল্যান্ডে গিয়ে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবে। কেন না, অন্য কোনও টিকা নিলে সেটা কাজে লাগবে না।
আইপিএল চলার সময়ই ক্রিকেটারদের টিকা দিতে চেয়েছিল বিসিসিআই। কিন্তু হুট করেই স্থগিতের ঘোষণা আসায় সেটি সম্ভব হয়নি। আর যখন টিকা দেয়া হবে এরপর আর সময় হবে না দেশে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার।
করোনার টিকা দুই ডোজ নেওয়ার নিয়ম। প্রথম ডোজ নিয়েই কোহলিরা ইংল্যান্ড সফরে যাবেন। এরপর ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে আবার দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। অথচ সেই সময়ে কোহলিরা থাকবেন ইংল্যান্ডে। তাই ইংল্যান্ডে থেকেই কোহলিরা যাতে সহজে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেন সেজন্য যুক্তরাজ্যের টিকাই দেওয়া হবে কোহলিদের।