রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারী কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাস নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।
সোমবার (৩ মে) রাত ৮টায় এভারকেয়ার হাসপাতালে সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিএনপি চেয়ারপারসনের সর্বশেষ অবস্থা জানান অধ্যাপক জাহিদ হোসেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরার পর গত ১১ এপ্রিল থেকে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন খালেদা জিয়া। ১৪ দিন পর আবার পরীক্ষা করা হলে তখনও তার করোনাভাইরাস ‘পজেটিভ’ আসে। এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৭ এপ্রিল রাতে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। চেস্টের সিটি স্ক্যান ও কয়েকটি পরীক্ষার পর সেই রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘‘করোনারী কেয়ার ইউনিটে উনি আছে। এই ইউনিটে যথন রোগী থাকে তখন তো সেটা স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসই নেয়।”
সকালের দিকে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকিৎসকরা বিকাল ৪টায় খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে (কেয়ার ইউনিট) স্থানান্তর করে।
অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘‘আজকে ভোরের দিকে উনি একটু শ্বাস কষ্ট অনুভব করেন। উনি যখন শ্বাস কষ্ট অনুভব করেন চিকিৎসকরা উনাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর উনাদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে ম্যাডামকে করোনারী কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।’’
তিনি বলেন, ‘‘আপনাদের মাধ্যমে আমরা দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করব যে, উনার রোগমুক্তির জন্য আপনারা মহান রাব্বুল আ‘লামীনে কাছে দোয়া করার জন্য বলবেন।”
শ্বাসকষ্টের কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘মানুষের যেকোনো সময়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে শ্বাস কষ্ট হতে পারে। উনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে এবং সেগুলো এখানকার চিকিৎসকরা কালেকটিভলি করছেন। সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সাথে সাথে দেশে বিদেশে যেসব কনসালটেন্টের সাথে আলাপ-আলোচনা করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে। এর পরবর্তিতে বিস্তারিত জানা যাবে।”
এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন। গত ২৭ এপ্রিল গুলশানের ওই হাসপাতালে ভর্তির পরদিনই তার জন্য ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।