পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের ট্রেন্ডে খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলাফলের প্রাথমিক ট্রেন্ড দেখেই দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করার বার্তা দিয়েছেন মমতা। তৃণমূল সূত্রের খবর, কর্মীদের উদ্দেশে তৃণমূলনেত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যে তৃণমূল দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই ক্ষমতায় ফিরবে।
রোববার সকাল ৮টা থেকে পশ্চিবঙ্গের ২৯২ আসনের ভোটগণনা শুরু হয়েছে। সকাল ১১টা থেকে প্রাথমিক ট্রেন্ডে রাজ্যের দুই তৃতীয়াংশের বেশি আসনে এগিয়ে রাজ্যের শাসকদল। বিজেপি একশোর কম আসনে এগিয়ে। সেখানে তৃণমূল ১৯২টির বেশি আসনে এগিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই ফলাফলের ট্রেন্ডে এগিয়ে খুশি তৃণমূল (টিএমসি) সুপ্রিমো। সাতসকালেই কালীঘাটে দলের ওয়ার-রুম থেকে মমতা দলের কর্মীদের বার্তা দিয়েছেন, তৃণমূল-কংগ্রেস তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে। এবং সেটা দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের কথা। তৃণমূল ত্যাগের আগে এই দুই জেলায় দলের পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাছাড়া এই দুটি জেলাই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর ঘরের মাঠেই ভাল ফলের ইঙ্গিত পেয়েছে তৃণমূল। মালদহে তৃণমূল এতদিন ছিল তৃতীয় শক্তি। সেখানেও এবার কার্যত প্রথম শক্তি হিসেবে উঠে আসার ইঙ্গিত দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই খুশি মমতা। তিনি মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের দলীয় কর্মীদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, একুশের এই নির্বাচন বিজেপির জন্য প্রেস্টিজ ফাইট। আর তৃণমূলের জন্য একপ্রকার গড় ধরে রাখার লড়াই। বিজেপি শিবির পশ্চিমবঙ্গ দখলের লক্ষ্যে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছে। তবে, সকালের প্রাথমিক এই ট্রেন্ড যদি বজায় থাকে তাতে গড় রক্ষার লড়াইয়ে সাফল্য পেতে চলেছে তৃণমূলই। সকালের প্রাথমিক ট্রেন্ডে অবশ্য মমতা নিজে পিছিয়ে আছেন। যা রাজ্যের তৃণমূলকর্মীদের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে, তৃণমূলনেত্রী এখনও আশাবাদী, নন্দীগ্রামে শেষ হাসি হাসবেন তিনিই।