মূল কাজটা রক্ষণ হলেও আক্রমণে বেশ দক্ষতা রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক সার্জিও রামোসকে এনে দিয়েছে বাড়তি খ্যাতি। দলটির দুটো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে প্রত্যক্ষ অবদান আছে তার। তবে আরেক ডিফেন্ডারে সম্প্রতি মিলছে তার ছায়া। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার এডার মিলিতাও রবিবার গোল করে জিতিয়েছেন রিয়ালকে।
প্রতিপক্ষ ওসাসুনা আগের দেখাতে রিয়ালকে রুখে দিয়েছিল গোলশূন্য ড্রয়ে। সে শঙ্কা এবারও চোখ রাঙানি দিচ্ছিল লা লিগা শিরোপাধারীদের। তা থেকে জিদানের দল রক্ষা পেল নেইমারের স্বদেশির কল্যাণে। পরে ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে রিয়াল। তাতে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধানটা ঠিকই রেখেছে জিদানের শিষ্যরা।
ওসাসুনার বিপক্ষে প্রথমার্ধে বেশ কিছু সুযোগ পেলেও গোলের দেখা পায়নি লস ব্লাঙ্কোসরা। কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল ওসাসুনাও। তারাও পায়নি জালের নাগাল।
বিরতির পর ৭৫ মিনিট পর্যন্ত ওসাসুনা আটকে রাখে রিয়ালকে। এরপর খেই হারায় তারা। ৪ মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল হজম করে হার মানে।
৭৬ মিনিটে কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে হেড দিয়ে জালে জড়ান রিয়ালের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় ইদার মিলিতাও। যা ছিল চলতি মৌসুমে তার প্রথম গোল।
জানুয়ারির পর এদিন প্রথমবারের মতো প্রথম একাদশে জায়গা পেয়েছিলেন এডেন হ্যাজার্ড। তবে চোট-অবসাদের কারণে এদিন খেলেননি টনি ক্রুস ও লুকা মদ্রিচ, তবে দু’জনের অনুপস্থিতিতেও গোলের সুযোগ ভালোই তৈরি করেছিল রিয়াল। কাড়ি কাড়ি গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেও গোল করতে না পারা, রিয়াল আক্রমণভাগের নিয়মিত ব্যাপারেই পরিণত হয়েছে; অন্তত ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো চলে যাওয়ার পর থেকে তো বটেই। সে সমস্যা ওসাসুনার বিপক্ষেও ছিল দলটির। বিরতির আগে কমপক্ষে দশটা সুযোগ তৈরি করেছিল রিয়াল, যার একটাও পায়নি যোগ্য পরিণতি।
প্রতি আক্রমণে ওসাসুনাও পেয়েছে অন্তত দুটো সুযোগ। কিন্তু তারাও সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি। এ চিত্র ছিল বিরতির আগে-পরে দুই অর্ধেই। বরং সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে খেলার গতিও কমে আসছিল, পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল কোচ জিদানের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
তবে তা থেকে কোচ ও রিয়ালকে রক্ষা করেন মিলিতাও। হ্যাজার্ডের বদলি হিসেবে মাঠে আসা ইস্কোর কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে রিয়ালকে ৭৫ মিনিটে পরম আরাধ্য গোলটি এনে দেন নেইমারের ব্রাজিল-সতীর্থ। দ্বিতীয় গোলটাও এল আরেক ব্রাজিলিয়ানের পা থেকে। কারিম বেনজেমার থ্রুতে প্রথম স্পর্শেই অনেকটা ভাগ্যগুণে গোলটা পেয়ে যান ক্যাসেমিরো। ফলে ২-০ গোলের জয় নিয়ে ৩৪ ম্যাচ শেষে ৭৪ পয়েন্ট অর্জন করে তালিকার দুইয়ে জায়গা ধরে রাখে রিয়াল।
দিনের শুরুর ম্যাচে রিয়ালের নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকোও জিতেছে ভাগ্যগুণে। এলচের বিপক্ষে মার্কোস ইয়োরেন্তের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর শেষ মিনিটে হজম করেছে পেনাল্টি। তবে সে স্পটকিক কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় স্বাগতিক এলচে। ফলে ১-০ গোলের জয় নিয়ে অ্যাটলেটিকো নিজেদের শীর্ষস্থান ধরে রাখে। ৩৪ ম্যাচ শেষে দলটির অর্জন ৭৬ পয়েন্ট। আর তিনে থাকা বার্সা খেলেছে একটি ম্যাচ কম, আর তাদের অর্জন ৭০ পয়েন্ট। আর ভ্যালেন্সিয়ার মাঠ মেস্তায়ায় দারুণ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নামবেন মেসিরা।