ঢালিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী শাবানা। ইন্ডাস্ট্রিতে তার অভিষেক শিশু শিল্পী হিসেবে। ১৯৬২ সালে ‘নতুন সুর’ শিরোনামে সিনেমাটি মুক্তি পায়। যেটির পরিচালক ছিলেন এহতেশাম।
শাবানা এরপর আরও দুটি সিনেমায় শিশু শিল্পী ও পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। নায়িকা হিসেবে তার অভিষেক এহতেশামের পরিচালনায় ‘চাকোরী’ দিয়ে। যেটি উর্দু ভাষার নির্মিত সিনেমা।
প্রথম নায়িকা চরিত্রে অভিনয় দিয়েই ব্যাপক প্রশংসা কুড়ান শাবানা। এরপরই পরিচালক এহতেশাম তার নাম ‘রত্না’ থেকে শাবানা রাখেন।
ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন শাবানা। তার বিপরীতে কোন নায়ক রয়েছেন সেই ভাবনা কখনও ছিল না তার। নিজের চরিত্র ও গল্পে সবসময় ফোকাস থাকতেন তিনি।
গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাবানা এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমার কাছে গল্প ও চরিত্রের প্রাধান্য সবার আগে। এরপর পরিচালক কে সেটা দেখতাম। আর বিপরীতে কোন নায়ক রয়েছেন তা কখনও ভাবিনি। আমি কতটুকু ভালো অভিনয় করতে পারব সেদিকে নজর ছিল সবসময়।’
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাবানা। শুটিংয়ের আগে আশেপাশে তেমন চরিত্রগুলোকে অনুসরণ করতেন তিনি। শাবানা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘গ্রামের চরিত্র যখন পেতাম, তখন দেখতাম গ্রামের একটা মেয়ে কীভাবে কথা বলে বা তার চালচলন কেমন। অন্যদিকে কোনও ধনী মেয়ে চরিত্র পেলেও, বিভিন্ন শপিং মলে তাদের দেখতাম।’
এই প্রসঙ্গে শাবানা আরও বলেন, ‘তবে আমি পোশাকে ব্যাপারে সবসময় সচেতন ছিলাম। কারণ সবারই একটা নিজস্বতা থাকে। আমি সেখান থেকে কখনও বের হইনি।’
উল্লেখ্য, প্রায় পাঁচ শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন শাবানা। পাশাপাশি প্রযোজনাও করেছেন তিনি। সফলতার ঝুলিতে রয়েছে ১১ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
এত সফলতার পরেও ১৯৯৭ সালে সিনেমাকে বিদায় জানান শাবান। তার শেষ সিনেমা ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’ মুক্তি পায় একই বছরে। এরপর ২০০০ সালে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। তার দুই মেয়ে সুমি ও ঊর্মি এবং এক ছেলে নাহিন।