যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মার্কিন নাগরিকদের জরুরি ভিত্তিতে টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বাইডেন বলেছেন, ‘মহামারি করোনাভাইরাসকে পরাস্ত করতে আমাদের আরও অনেক কিছুই করতে হবে। এখনও যারা টিকা নেননি, তারা এক্ষুনি টিকা নিন। ১৬ বছর এবং তার ঊর্ধ্বে যাদের বয়স তারা এখন টিকা নিতে পারবে।’
স্থানীয় সময় বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাতে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে তিনি প্রথম ভাষণ দেন। প্রেসিডেন্ট তার ভাষণে আমেরিকানদের জন্য সরকারের জাতীয় সহযোগিতা কর্মসূচি সম্প্রসারণের প্রস্তাব করেন।
এ সময় তার প্রশাসনের কিছু চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন। যেমন করোনার কারণে অর্থনৈতিক সংকট এবং জানুয়ারি মাসে তার শপথ নেওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে আক্রমণের প্রসঙ্গ টানেন তিনি।
বাইডেন বলেন, ‘এখন এই ১০০ দিন পরে আমি জাতিকে জানাতে পারি, আমেরিকা আবার এগিয়ে যাচ্ছে।’ যুক্তরাষ্ট্রে ৫ লাখ ৭৪ হাজার লোকের মৃত্যুর কারণ এবং ৩ কোটি ২০ লাখ লোককে সংক্রমিত করেছে, তাকে পরাস্ত করতে প্রয়োজনীয় সব কিছু করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
দেশব্যাপী টেলিভিশনে সম্প্রচারিত প্রেসিডেন্টের এই ভাষণ সরাসরি প্রতিনিধি পরিষদ কক্ষে শুনেছেন প্রায় ২০০ জন। সাধারণত এ ধরনের ভাষণে ১৬০০ লোক উপস্থিত থাকেন। তবে করোনার কারণে এ সংখ্যা কমানো হয়।
বাইডেন তার ভাষণে ১৮ লাখ কোটি ডলারের পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। যার মধ্যে রয়েছে দু বছরের জন্য সরকারের ব্যয়ে কিন্ডারগার্টেনে পূর্ব পর্যায়ের শিক্ষা এবং তরুণদের জন্য দু বছরের বিনা বেতনে কমিউনিটি কলেজে শিক্ষার ব্যবস্থা। তাছাড়া বাইডেনের প্রস্তাবে রয়েছে পরিবারগুলোর জন্য ২২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের শিশু পরিচর্যার সহায়তা প্রস্তাব যাতে অভিভাবকদের অন্তত প্রতিমাসে আড়াই শ’ ডলার করে দেওয়া হবে।
বাইডেন তার ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীন, রাশিয়া এবং ইরানের সম্পর্কের বিষয়টিও বিস্তারিত তুলে ধরেন। মিত্রদের সঙ্গে অধিকতর কাজ করার বিষয়ে তিনি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়ে এ মাসেই নেটো সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করা।