চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (২৫ এপ্রিল) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন। পরে অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন বলেন, আগামীকাল (২৬ এপ্রিল) রিট আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকবে।
এর আগে ২২ এপ্রিল চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে পুলিশের গুলিতে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ৩ কোটি টাকা ও আহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন এ রিট দায়ের করেন।
গত ১৮ এপ্রিল শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৫ জন নিহতের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে পুলিশের গুলিতে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে তিন কোটি টাকা ও আহত প্রত্যেকের পরিবারকে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া নিহত ও আহত শ্রমিকের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে নোটিশে।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন এ নোটিশ পাঠান। স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, শিল্প সচিব, বাণিজ্য সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করা হয়।
গত ১৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ শ্রমিক নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বেতনভাতা নিয়ে অসন্তোষ থেকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত বেশ কয়েকজনকে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহতরা হলেন- শুভ (২৩), মো. রাহাত (২৪), আহমদ রেজা (১৯), রনি হোসেন (২২) ও রায়হান (২০)।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় আবদুল কাদের, ইয়াসির আহমেদ, আসাদুজ্জান নামে তিন পুলিশ কনস্টেবলও আহত হয়েছিলেন।