হোয়াইট হাউজের উদ্যোগে ‘লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেট’ শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার বৈঠকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর সাথে সাথে পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তির উদ্ভাবন, বিকাশ ও ব্যবহারের ওপরে গুরুত্ব দেয়া হয়। পরিবেশ বান্ধব নানা প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মধ্যদিয়ে বিনিয়োগ বাড়িয়ে মজবুত অর্থনীতি গড়ার বিষয়টির দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেন বিশ্ব নেতারা।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি বলেন, ‘আগেই আমরা রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রীমহোদয়, বিনিয়োগকারী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে নতুন পদক্ষেপ ও প্রতিশ্রুতির কথা শুনেছি, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।’ তিনি বলেন, একে নতুন দিগন্তের শুরু বলা যায়। কারণ বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫-এর মধ্যে রাখতে বিশ্ব এখন বদ্ধপরিকর।
জন কেরি আরো বলেন, ‘অনেক দেশ যারা অত্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছে, যেসব দেশের ইতোমধ্যে অভিজ্ঞতা হয়েছে নজীরবিহীন বন্যা, ঝড়, খরা ও আরো অনেক কিছুরর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে চলেছে তা আমাদের অনুপ্রাণিত করে।’
বৈঠকে বৈশ্বিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির উন্নয়নের পাশাপাশি তার বিকাশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসেল্ভানিয়া রাজ্যের লক হ্যাভেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জান বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা