লিওনেল মেসির জোড়া গোলে গেতাফেকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিয়ে শিরোপা দৌড়ে রয়েছে কাতালান জায়ান্ট বার্সেলোনা। জোড়া গোল করেছেন লিওনেল মেসি। ১ ম্যাচ কম খেলে লিগ টেবিলে অ্যাটলেটিকো ও রিয়ালের পরেই অবস্থান বার্সার। এদিকে হুয়েসকার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে শীর্ষস্থানে ফিরেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।
গত অক্টোবরে গেতাফের কাছে ১-০ গোলে হারের দুঃসহ স্মৃতি ছিলো; তবে জয়ছাড়া অন্য কোনো বাস্তবতা ছিল না শিরোপা লড়াইয়ে থাকতে। টানা ১৯ লিগ ম্যাচে অজেয় থাকলেও রিয়ালের কাছে ধাক্কা খাওয়া বার্সার ক্ষতে প্রলেপ দিয়েছে কোপা দেলরের শিরোপা জয়। এদিন ন্যু ক্যাম্পে ম্যাচের ৮ মিনিটেই বুস্কেটসের অ্যাসিস্ট থেকে লিওনেল মেসির গোলে লিড নেয় বার্সা। তবে ক্লেমো লংলের আত্মঘাতি গোলে সমতায় ফেরে গেতাফে।
২৮ মিনিটে যেন একই ভুল করে সফরকারীরা। সোফিয়ান চাকলার ভুলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় কোম্যান শিষ্যরা। পাঁচ মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় আর লিগে ২৫ তম গোলে ব্যবধান ৩-১ করেন এল এম টেন।
৬৯ মিনিটে পেনাল্টি পায় গেতাফে। স্পট কিকে দলকে লড়াইয়ে ফেরায় এনেস উনাল। তবে শেষ দিকে ব্যবধান বাড়ায় আরাহো। মেসির অসাধারণ কর্নারে দারুণ হেডে বল জালে পাঠান উরুগুয়ের ডিফেন্ডার। যোগ করা সময়ে ডি-বক্সে ফাউলের শিকার আতোয়ান গ্রিজমান। হ্যাটট্রিকের সুযোগ নিজে না নিয়ে গ্রিজমানে আস্থা রাখে মেসি। সফল স্পট কিক থেকে ব্যবধান ৫-২ করে সে। ৩১ ম্যাচে ২১ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ফিরলো বার্সেলোনা। একটি করে ম্যাচ বেশি খেলা রিয়াল ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট যথাক্রমে ৭০ ও ৭৩।
আরেক ম্যাচে হুয়েসকার বিপক্ষে সহজ জয় পায় লিগ লিডার অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ঘরের মাঠে সাফল্য পেতে ৩৯ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে। লোরেন্টের অ্যাসিস্ট থেকে ডেড লক ভাঙেন কোরেয়া। ৮০ মিনিটে ঐ রোরেন্টের অ্যাসিস্ট থেকে ব্যবধান ২-০ করেন কারাসকো।