আমেরিকা দাবি করেছে, ইরানের পরমাণু সমঝোতায় দেশটির ফিরে আসা দ্রুত ও সহজ হবে না। পাশাপাশি ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতার চেয়ে ভালো চুক্তি সই করার লক্ষ্যে সাবেক ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার যে নীতি গ্রহণ করেছিল তার সমালোচনা করে ওয়াশিংটন বলেছে, সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি যে সঠিক ছিল না তা প্রমাণিত হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক সংবাদ সম্মেলনে ভিয়েনায় ইরানের পরমাণু সমঝোতা বিষয়ক বৈঠক সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন।
তিনি বলেন, ইরান ও আমেরিকা অভিন্ন লক্ষ্যে এগুচ্ছে এবং তা হচ্ছে পরমাণু সমঝোতার প্রতিশ্রুতিতে পুরোপুরি ফিরে যাওয়া। ভিয়েনা আলোচনা গঠনমূলক ও ইতিবাচক হওয়া সত্ত্বেও এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ইরানের সঙ্গে আলোচনা পরোক্ষ হওয়ার কারণে তা কঠিন হয়ে উঠেছে বলে জানান নেড প্রাইস।
মার্কিন মুখপাত্র এমন সময় এসব কথা বললেন যখন ইরানের উপর থেকে ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। ইরান বলেছে, ২০১৮ সালের মে মাসে আমেরিকা পরমাণু সমঝোতা থেকে নিজেই বেরিয়ে গেছে এবং অবৈধভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এখন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলে সবগুলো এক সঙ্গে করতে হবে।
ভিয়েনা আলোচনার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র ইরানের প্রেস টিভিকে এ তথ্য দিয়েছেন। সূত্রটি বলেছে, একসঙ্গে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার ছাড়া ইরান কোনোভাবেই অন্য কোনো প্রস্তাব মেনে নেবে না।
ইরান আরো বলেছে, ভিয়েনা আলোচনায় অংশ নেয়া পাঁচ জাতিগোষ্ঠী যদি সঠিক পথে ফিরে না আসে এবং বাড়তি দাবি ও সময় ক্ষেপণ করে তাহলে ইরান এই আলোচনায় অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকবে।
সূত্র : পার্সটুডে