মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন আফগানিস্তান থেকে তার দেশের সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের হুমকি আফগানিস্তান থেকে অন্য দেশে সরে গেছে এবং ওয়াশিংটনকে চীন ও মহামারির মতো বিষয়গুলোতে এখন নজর দিতে হবে।
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেছেন, এ বছর নাইন ইলেভেনের হামলার ২০ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে আফগানিস্তান থেকে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। এর মাধ্যমে দেশটিতে বিশ বছর ধরে থাকা মার্কিন সেনা উপস্থিতির অবসান হতে যাচ্ছে।
গত বছর তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে চুক্তি হয় তার চেয়ে চার মাস পরে সেনা প্রত্যাহার করা হবে। আফগান সরকার ও তালেবানের সঙ্গে সংলাপ স্থবির অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিল যুক্তরাষ্ট্র।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন এবিসি চ্যানেলকে বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের হুমকি অন্য জায়গায় সরে গেছে এবং আমাদের এজেন্ডায় আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে যেগুলোর মধ্যে রয়েছে-চীনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে করোনাভাইরাস মোকাবিলা। আর এগুলোতেই আমাদের শক্তি ও সংস্থানের জন্য নজর দিতে হবে।’
গত সপ্তাহে অ্যান্টনি ব্লিংকেন কাবুলে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনিসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ব্লিংকেন এবিসিকে বলেন, ‘যে লক্ষ্য আমরা অর্জন করতে চেয়েছিলাম যুক্তরাষ্ট্র তা অর্জন করতে পেরেছে।’
তিনি বলেন, ‘আল-কায়েদার শক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। তাদের এখন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানোর সক্ষমতা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আফগানিস্তানে পেন্টাগনের প্রায় আড়াই হাজার বাহিনীর অধীনে এক লাখেরও বেশি সেনা রয়েছে। আরও হাজার হাজার সেনা ন্যাটোর শক্তিশালী ৯,৬০০ বাহিনীর অংশ হিসাবে কাজ করছে, যা একই সঙ্গে প্রত্যাহার করে নেয়া হবে।’
তবে ব্লিংকেন বলেছেন, ওয়াশিংটন ‘প্রকৃত সময়ে’ তালেবানদের যে কোনও কর্মকাণ্ড দেখতে পাবে এবং তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারবে। তিনি বলেন, ‘তাই তারা যদি আবার কিছু করে, তারা দীর্ঘ যুদ্ধের কবলে পড়বে যেটায় তাদেরও আগ্রহ নেই।’