হেতাফের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে মূল্যবান দুটি পয়েন্ট খোয়াল রিয়াল মাদ্রিদ। টানা চার জয়ের পর পয়েন্ট হারাল তারা। এল ক্লাসিকো জিতে স্প্যানিশ লা লিগায় বার্সার চেয়ে এক পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল রিয়াল, তবে এই ড্র’তে আবারও বার্সার চেয়ে পিছিয়ে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে।
চোট আর করোনাভাইরাসের ছোবলে এই ম্যাচের জন্য মূল দলের মাত্র ১২ জন আউটফিল্ড খেলোয়াড় অবশিষ্ট ছিল রিয়ালের। এমন সঙ্কটের মাঝেও ভবিষ্যতের কথা ভেবে দারুণ ছন্দে থাকা করিম বেনজেমা ও টনি ক্রুসকে বেঞ্চে রাখেন কোচ। সব মিলিয়ে ক্লাসিকোর দল থেকে সাতটি পরিবর্তন এনে শুরুর একাদশ সাজান জিদান।
অষ্টম মিনিটে প্রতি আক্রমণে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান মারিয়ানো দিয়াজ। তবে অফসাইডের খাঁড়ায় পড়ে বাতিল হয় গোলটি। আগের পাঁচ ম্যাচে জয়শূন্য এবং গত ১২ রাউন্ডে মাত্র একটি জয় পাওয়া গেতাফে আবারও ভীতি ছড়ায় ২৩তম মিনিটে। তবে মাতার হেড পোস্টে লাগলে বেঁচে যায় রিয়াল। পাঁচ মিনিট পর গোলরক্ষকের চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে দিয়াজের নেওয়া হেড কর্নারের বিনিময়ে ফেরান হেতাফের মিডফিল্ডার ডেভিড টিমোর।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৯তম মিনিটে হেতাফে ফরোয়ার্ড এনেস উনালের জোরালো শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান থিবো কোর্তোয়া। ৬৫তম মিনিটে দলে একসঙ্গে দুটি পরিবর্তন আনেন জিদান। দিয়াজ ও রদ্রিগোকে তুলে নামান বেনজেমা ও আন্তোনিও ব্ল্যাঙ্কোকে। কোচের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি কেউই।
খেলার ৭৮ মিনিটে আবারও রিয়ালের ত্রাতা কোর্তোয়া। নেমানিয়া মাকসিমোভিচের জোরালো শট চুস্টের পায়ে লেগে ক্রসবার ঘেঁষে জালে ঢুকতে যাচ্ছিল। লাফিয়ে কর্নারের বিনিময়ে তা ফেরান এই বেলজিয়ান গোলরক্ষক। শেষ পর্যন্ত দুই দলের কেউই আর গোল করতে না পারায় গোলশূন্যতেই শেষ হয় ম্যাচটি।
এই ড্র’তে ৩১ ম্যাচে ২০ জয় ও সাত ড্রয়ে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। এদিকে এইবারকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।৩০ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে বার্সেলোনা। শিরোপা লড়াইয়ে খুব একটা পিছিয়ে নেই ৩১ ম্যাচ খেলা সেভিয়াও।