‘ভারতে করোনার প্রকোপ বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকার করোনার চলমান এই প্রকোপ ঠেকাতে ব্যর্থ। মহামারি মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতেও মোদি ব্যর্থ হয়েছেন। তাই তার এখনই পদত্যাগ করা উচিত।’
ভারতে রেকর্ড দুই লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত একইসঙ্গে রেকর্ড দেড় সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানির দিনে মোদির বিরুদ্ধে মহামারি মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন পশ্চিমঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
চলতি বছরে ফের ভাইরাসটির প্রকোপ ফের শুরুর আগে যে পাঁচ-ছয় মাস ধরে সংক্রমণ হ্রাস পেয়েছিল ওই সময় মেডিকেল অক্সিজেন ও টিকা সরবরাহের সম্ভাব্য সংকট সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী সামান্যই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন মমতা।
দেশের চাহিদা না মিটিয়ে টিকা রফতানির জন্য মোদির সমালোচনা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। মমতার অভিযোগ, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের সুনাম প্রতিষ্ঠান জন্য মোদি যখন দেশে দেশে টিকা পাঠাচ্ছিলেন তখন তার দেশে দেখা দিয়েছিল টিকার সংকট।
মমতা বলেন, ‘করোনাভাইরাসের এই উত্থানের কারণে প্রধানমন্ত্রী মোদির পদত্যাগ করতে হবে। দেশের বর্তমান শোচনীয় পরিস্থিতির জন্য তিনিই দায়ী। ২০২১ সালের জন্য তিনি কোনো প্রশাসনিক পরিকল্পনা করেননি। আপনারা গুজরাটের পরিস্থিতি একবার দেখুন।’
তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা আরও বলেন, ‘এমনকি গুজরাটের করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ পরিস্থিতিও মোকাবিলা করতে পারছে না বিজেপি। উল্টো পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা ভারতবর্ষকে তারা ভয়াবহ এক পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দিয়েছে।’
রাজ্যের সব মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গে সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ৫ কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিকা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘আমরা এ বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কোনো এখনো সাড়া পাইনি।’
পশ্চিমবঙ্গে করোনা মজুদ সব টিকা দেওয়া শেষ হয়ে গেছে বলে এ সময় দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
সূত্র: দ্য হিন্দু