করোনাভাইরাস মহামারির প্রথম ঢেউয়ের মতো দ্বিতীয় ঢেউকেও ভারত পরাজিত করতে সক্ষম হবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার (১৭ এপ্রিল) ভারতের করোনা পরিস্থিতি ও টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে আয়োজিত এক পর্যালোচনা বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, শনিবার কেন্দ্রীয় সরকারের কয়েকটি দফতরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত ভারতের সর্বশেষ পরিস্থিতি আলোচনা করেন মোদি।
সেখানে তিনি বলেন, ‘গত বছর ঐক্যবদ্ধভাবে করোনাভাইরাসকে পরাজিত করেছিলাম আমরা। এবার আবারও সেটাই করবে ভারত।’
টানা ৩ দিন ধরে ভারতে ২ লাখেরও বেশি নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে শনিবারের বৈঠকে আশ্বাসের সুর শুনিয়েছেন মোদি। তার মতে, কঠোরভাবে করোনার বিধিনিষেধ পালনের মাধ্যমে মহামারিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
সংক্রমণের রাশ টেনে ধরতে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা, সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা অন্যদের খুঁজে বের করা এবং তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদানের ওপরও জোর দিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, ‘কোভিড পরীক্ষা, সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা অন্যদের সন্ধান এবং তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।’
ভারতে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় চাহিদা বেড়েছে অক্সিজেনের। শুক্রবার এই বিষয়ে আলোচনার জন্য় সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মোদি। সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, ওই বৈঠকে মেডিকেল অক্সিজেনের উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এর মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের বৈঠক করলেন মোদি।
উল্লেখ্য, ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ছে মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩৪১ জন। দৈনিক মৃতের সংখ্যায় যা সর্বোচ্চ। দৈনিক সংক্রমণ ইতোমধ্যেই আড়াই লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে।
দিল্লিতে করোনা পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, অক্সিজেনের সংকট দেখা দিয়েছে। ঘাটতি রয়েছে করোনার ওষুধ রেমডেসিভির সরবরাহেও। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজেই এ কথা জানিয়েছেন।