আন্তর্জাতিক মঞ্চে বর্তমান সময়টা ভালো কাটছে না বাংলাদেশ দলের। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি; তিন ফরম্যাটে মিলিয়ে নিজেদের সর্বশেষ আট ম্যাচের সবগুলোতেই অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে টাইগাররা। এবার মিশন শ্রীলঙ্কা। তাদের মাটিতে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে টাইগাররা। সময়টা খারাপ গেলেও প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা বলেই বাড়তি আত্মবিশ্বাস বাংলাদেশ শিবিরে।
তিনদিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে আজ (শুক্রবার) দ্বিতীয় দিনের মতো অনুশীলন সেরেছে সফরকারীরা। আগামীকাল দুইদিনের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামবেন মুমিনুল হক, তামিম ইকবাল, মেহেদী হাসান মিরাজরা। তার আগে শ্রীলঙ্কা থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় অলরাউন্ডার মিরাজ বলেন, শ্রীলঙ্কার অতীত পরিসংখ্যান আশা দেখাচ্ছে তাদের।
মিরাজ জানান, ‘এর আগে আমরা শ্রীলঙ্কায় যতবারই খেলেছি ভালো ক্রিকেট খেলেছি। নিদাহাস ট্রফি অল্পের জন্য জিততে পারিনি। শ্রীলঙ্কা সিরিজে ওয়ানডেতে ১-১ ছিল, টেস্টেও ওরা একটা জিতেছে আমরা একটা জিতেছি। আমরা ওদের চেয়ে পিছিয়ে নই, গত ৩-৪ বছর যেভাবে খেলেছি ওদের মাটিতে। যদি আগের মতো কমিটমেন্ট থাকে আর লড়াই দিতে পারি, তাহলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।’
শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশ দল সবশেষ মাঠে নেমেছে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর। তামিম ইকবালের নেতৃত্বে ৩ ম্যাচ সিরিজে তিনটিতেই হার। সেই তিন ম্যাচের হিসেব বাদ দিলে মিরাজ নেহায়েত মন্দ বলেননি। ২০১৭ থেকে ২০১৯, এর মধ্যে ৯ ম্যাচের ৫টিতে জিতেছে টাইগাররা। যদিও এযাবৎ শ্রীলঙ্কায় ১২ টেস্টে মাত্র ১ জয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। হারতে হয়েছে ১০ ম্যাচে, বাকি ১ ম্যাচ ড্র।
তবে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের শততম টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। সেটি শ্রীলঙ্কার মাটিতে তাদের বিপক্ষে। সেখান থেকে এবারও অনুপ্রেরণা নিতে চান মিরাজরা।
মিরাজ বলেন, ‘যখন শততম টেস্ট ম্যাচ জিতেছিলাম খুব ভালো লেগেছিল। শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথম টেস্ট জিতেছিলাম। ওই মুহূর্তে অবশ্যই ভালো লেগেছিল। দলের সবার কমিটমেন্ট ছিল- আমরা ভালো ক্রিকেট খেলব এবং যে করেই হোক ম্যাচটা জিততে হবে। টিম মিটিংয়ে সবার ভেতর কমিটমেন্ট ছিল এবং বলছিল- আমাদের কিছু একটা করতে হবে, সর্বোচ্চটা দিতে হবে।’
এই অলরাউন্ডার সঙ্গে যোগ করেন, ‘যখন খেলা শুরু হয়েছিল তখন প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের কাছেই ওরকম মনোভাব ছিল। শারীরিক ভাষাও এরকম ছিল যে আমাদের জিততে হবে ম্যাচটা। ভালো সময়, খারাপ সময় পাঁচদিনই ছিল। শেষ দিন যখন ভালো ক্রিকেট খেলতে পেরেছিলাম এবং দল জিতেছিল, তখন খুব আনন্দ লেগেছিল সবার ভেতরে। খুব আনন্দ পেয়েছিলাম ঐ ম্যাচটা জিতে।’