spot_img

দেশে করোনাভাইরাসে ১০ হাজার মৃত্যুর মাইলফলক ছাড়াল, একদিনে প্রাণ গেল আরও ৯৪ জনের, শনাক্ত ৪১৯২, সুস্থ ৫৯১৫

অবশ্যই পরুন

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে বাংলাদেশে আরও ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে; মহামারি শুরুর পর থেকে যা একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গত এক বছরেরও বেশি সময়জুড়ে প্রাণঘাতি এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজারের মাইলফলক ছাড়িয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে ১০ হাজার ৮১ জনের মৃত্যু হয়ে কোভিডজনিত কারণে।

মারাত্মক সংক্রামক এই ভাইরাসটি গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে দেশের আরও ৪ হাজার ১৯২ জনের দেহে। মহামারি শুরুর পর থেকে সব মিলিয়ে এই শনাক্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৭ লাখ ৭ হাজার ৩৬২ এ। সংক্রমণের সেকেন্ড ওয়েভে গত কয়েক দিন ধরেই ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়ে আসছিল।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে করোনাভাইরাস বিষয়ে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৯ হাজার ৯৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২১ শতাংশ। তবে মোট ৫১ লাখ ১৫ হাজার ৫৭২ টি নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় গত এক বছরে সংক্রমণের হার ১৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে পুরুষ ৬৪ জন নারী ৩০ জন।

অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে দেশে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা নারীদের অন্তত তিনগুণ বেশি।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ হাজার ৯১৫ জন কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট ৫ লাখ ৯৭ হাজার ২১৪ জন সেরে উঠলেন প্রাণঘাতি এই ভাইরাস থেকে।

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে সে বছরের ১৮ মার্চ।

করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য একটি বিশেষ ওয়েবসাইট (www.corona.gov.bd) চালু রেখেছে সরকার। এছাড়াও ভাইরাসটির প্রতিরোধে গত মার্চ থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে গণ টিকাদান কর্মসূচী।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকারের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী গত বুধবার থেকে সারা দেশে আট দিনব্যাপী কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে।

অন্যদিকে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে মানুষের দেহে প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি করতে সরকার ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ হতে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ব্যবহার করছে, যা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট হতে সংগ্রহ করা হচ্ছে।

এক নজরে বাংলাদেশের করোনা চিত্র:

মোট শনাক্ত: ৭ লাখ ৭ হাজার ৩৬২ জন
মারা গেছেন:  ১০ হাজার ৮১ জন
মোট সুস্থ: ৫ লাখ ৯৭ হাজার ২১৪ জন
মোট নমুনা পরীক্ষা: ৫১ লাখ ১৫ হাজার ৫৭২টি

সর্বশেষ সংবাদ

সশস্ত্রবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়লো আরও ৬০ দিন

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ আরো দুই মাস (৬০...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ