সামরিক অভ্যুত্থানের পর রক্তের বন্যা বইছে মিয়ানমারের রাজপথে। এরই মধ্যে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে সাত শতাধিক গণতন্ত্রপন্থীর মৃত্যু হয়েছে। উত্তাল মিয়ানমারে এবার স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর গুলি চালিয়েছে সামরিক জান্তা। গুলির ঘটনায় বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী হতাহত হয়েছেন।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার মান্দালয়ে চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালাল সেনাবাহিনী। গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন তারা। গুলিতে বহু হতাহত হয়েছেন।
মিয়ানমারে নববর্ষের সপ্তাহ চলছে। এই সপ্তাহে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে ফের একবার গর্জে উঠছেন গণতন্ত্রকামীরা। সপ্তাহজুড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ মিছিলের পরিকল্পনা করেছেন তারা। সেই আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা।
মান্দালয়ে প্রতিবাদ মিছিল চলাকালীন এলাকা ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী। শুরু হয় গুলি। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি মিজিমা সংবাদ সংস্থার। তবে কতজনের মৃত্যু হয়েছে বা কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বিবিসির বার্মিজ সার্ভিসও।
রাস্তায় নেমে বিক্ষোভের পাশাপাশি বিকল্প প্রতিরোধও গড়ে তুলছেন গণতন্ত্রপন্থীরা। সেনার ওপর চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছেন তারাও। রবিবার সকালে মান্দালয়ের মায়াদি ব্যাংকের বাইরে বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে এক নিরাপত্তাকর্মী গুরুতর জখম হন। মায়াদি ব্যাংকের বাইরে বিস্ফোরণ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই ব্যাংকটি পরিচালনা করে দেশের সেনাবাহিনী। এই ব্যবসা থেকেই মোটা টাকা আয় করে তারা।
কিন্তু ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানামারের আমজনতা ব্যাংকটিকে বয়কট করতে শুরু করেছেন। এমনকি, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থও তুলে নিতে চাইছেন অনেকে। এর মাঝেই ব্যাংকটির সবচেয়ে বড় শাখার সামনে বিস্ফোরণের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে সেনাবাহিনী। বিস্ফোরণে হতাহতের খবর না মিললেও গোটা এলাকায় নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় জান্তা সরকারের মন্তব্য জানতে রয়টার্স যোগাযোগ করলেও তারা কোনো মন্তব্য করেনি।