প্রিন্স ফিলিপ মৃত্যুর আগে তার বড় ছেলে প্রিন্স চার্লসকে তিনটি বার্তা দিয়ে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে একটি হচ্ছে, তিনি চলে যাওয়ার পরে রানির প্রতি খেয়াল রাখা ও তার যত্ন নেয়া।
ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম দ্য মিরর জানিয়েছে, মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ আগে ডিউক অফ এডিনবার্গ অসুস্থতাজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে তার বড় ছেলে প্রিন্স চার্লসকে তলব করেছিলেন বলে জানা গেছে। রাজপরিবারের একটি সূত্র জানিয়েছে যে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষে কিং এডওয়ার্ড সপ্তম হাসপাতালে এক কথোপকথনের সময়, পিতা এবং পুত্রের ‘পুরোপুরি ও স্পষ্ট’ এবং ‘আন্তরিক’ আলোচনা হয়েছিল। তার চূড়ান্ত অনুরোধগুলির মধ্যে ডিউক প্রিন্স চার্লসকে তিনি চলে যাওয়ার পরে রানীর যত্ন নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
বিশেষজ্ঞ রবার্ট জোবসন জানিয়েছেন, কীভাবে সামনের বছরগুলিতে রাজকীয় পরিবারকে নেতৃত্ব দেয়া উচিত সে সম্পর্কেও তিনি প্রিন্স অফ ওয়েলসকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তার তৃতীয় ইচ্ছা ছিল, বাসায় ফিরে বিশ্রাম নেয়ার, যাতে তিনি উইন্ডসর ক্যাসেলের দেয়ালের ভেতর নিজের বিছানায় মারা যেতে পারেন, প্যালেসে একটি সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।
অসুস্থ বাবাকে দেখে হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় প্রিন্স চার্লসকে বিষণ্ন ও অশ্রুশিক্ত দেখা গিয়েছিল। পরে ডিউক সুস্থ হয়ে ঘরে ফিলে আসলে তিনি ‘আনন্দিত’ হয়েছিলেন। তবে দুঃখের বিষয় গত শুক্রবার ৯৯ বছর বয়সে ডিউকের মৃত্যু হয়। তিনি তার নিজের বাড়ীতে স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন, মৃত্যুর সময় তার পরিবার তার চারপাশে ছিল।
তার আরেক ছেলে প্রিন্স অ্যান্ড্রু জানান, স্বামীর মৃত্যুর পরে রানী একটি ‘বিশাল শূন্যতা’ অনুভব করছেন এবং পরিবার তাকে সঙ্গ দিচ্ছে। অ্যান্ড্রু বলেন, ‘ডিউকের মৃত্যুতে তার একটি বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে বলে রানী জানিয়েছেন। তবে আমরা পরিবার – যারা খুব কাছের তারা সেখানে রয়েছি তাকে সঙ্গ দেয়ার জন্য।
এদিকে, চার্লস তার ‘প্রিয় বাবা’র প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, ‘আমি মনে করি গত ৭০ বছর ধরে আমার পিতা, রানী, আমার পরিবার, দেশ এবং উল্লেখযোগ্যভাবে কমনওয়েলথ দেশগুলোকে একনিষ্ঠ সেবা দিয়েছেন। আমার পরিবার এবং আমি আমার বাবাকে খুব মিস করছি।’ সূত্র: দ্য সান।