ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ লাখ ৬০ হাজার জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে এই মুহূর্তে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যার ভিত্তিতে সারা বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত।
এমনকি ফের আক্রান্তের সংখ্যার ভিত্তিতে ব্রাজিলকে ছাপিয়ে গিয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশটি। যার মাধ্যমে ভারতে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৩৫ লাখ ২৫ হাজার ১৫৩ জন। যেখানে ব্রাজিলে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮২ হাজার ৫৪৩ জন।
এর আগে ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বরে করোনা আক্রান্তদের নিরিখে ব্রাজিলকে ছাপিয়ে গিয়েছিল ভারত।
দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। শিগগিরই সেখানকার সরকার লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে। দিল্লিতেও অবস্থার অবনতি হচ্ছে দিনদিন। চলছে নাইট কারফিউ। হরিয়ানাতেও চলছে নাইট কারফিউ।
অবস্থার অবনতি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গেও। রোববার (১১ এপ্রিল) দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে যায় ৪ হাজার ৩৯৮ জনে, যা ছিল এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। তবে একদিনের ব্যবধানে সোমবার (১২ এপ্রিল) সেই রেকর্ড ভেঙে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪ হাজার ৫১১ জনে।
এদিকে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে রাশিয়ার তৈরি টিকা ‘স্পুটনিক-৫’ ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ভারত। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ও সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার তৈরি কোভিশিল্ড, ভারতের স্থানীয় কোম্পানি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের পর করোনার তৃতীয় টিকা হিসেবে স্পুটনিক-৫ ভারতে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় দিল্লিতে ১৪টি বেসরকারি হাসপাতালকে বিশেষায়িত করোনা হাসপাতালে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।