মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আসন্ন চন্দ্রাভিযান ‘মিশন আর্টেমিস’-এ প্রথমবারের মতো চাঁদে হাঁটবেন কোনো অশ্বেতাঙ্গ। একই সঙ্গে এই প্রথম চাঁদের বুকে হাঁটবেন এক নারী মহাকাশচারীও। নাসার তদারকি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর স্টিভ জারসিজক এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘পাঁচ দশক পর নাসা এবার যে চন্দ্রাভিযান শুরু করছে, এতে চার মহাকাশচারী চাঁদের বুকে হাঁটবেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন, একজন নারী এবং দ্বিতীয়জন অশ্বেতাঙ্গ।’
শুক্রবার কংগ্রেসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন আর্টেমিসসহ মহাকাশ ও পৃথিবী সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণায় আগামী অর্থবছরে নাসার জন্য ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব পেশ করে। তাতেও উল্লেখ করা হয়, পাঁচ দশক পর নাসা আবার যে চন্দ্রাভিযান শুরু করতে চলেছে, তাতে এক নারী ও একজন অশ্বেতাঙ্গ থাকবেন। তারা হাঁটবেন চাঁদের বুকে। বর্তমানে নাসার লক্ষ্য, আগামী তিন বছরের মধ্যে চাঁদে পুনরায় মানুষ পাঠানো।
এর আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ঘোষণা করেছিল, আসন্ন আর্টেমিস মিশনে অন্যদের সঙ্গে এক মহিলা মহাকাশচারীও চাঁদে হাঁটবেন। বাকিদের মধ্যে যে একজন অশ্বেতাঙ্গও থাকছেন তা স্পষ্ট হলো অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাবে।
১৯৭২ সালের ১৪ ডিসেম্বর চাঁদের বুকে শেষ হেঁটেছিলেন মহাকাশচারী ইউজিন কারনান। তিনি ছিলেন নাসার ‘অ্যাপোলো-১৭’ মিশনের কমান্ডার। এরপর আর কোনো মানুষ চাঁদে পা রাখেননি।
চাঁদের বুকে মানুষের প্রথম পদক্ষেপের সূচনা হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। ওই বছরের ২০ জুলাই প্রথম চাঁদের বুকে হেঁটেছিলেন নাসার ‘অ্যাপোলো-১১’ মিশনের দুই মহাকাশচারী নিল আর্মস্ট্রং এবং বাজ অলড্রিন। এদের মধ্যে চাঁদে প্রথম পা রেখেছিলেন আর্মস্ট্রং। তার ২০ মিনিট পরই পা ফেলেছিলেন অলড্রিন।
১৯৬৯ সালের জুলাই থেকে ১৯৭২-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত নাসার বিভিন্ন মিশনে মোট ১২ জন মহাকাশচারী চাঁদের বুকে হেঁটেছেন। তবে, এদের মধ্যে একজনও মহিলা এবং অশ্বেতাঙ্গও ছিলেন না।