২০১৯ সালের অক্টোবরে কাঁধে উঠেছে টেস্ট অধিনায়কত্ব। এরপর থেকে সময়টা ভালো যায়নি অধিনায়ক মুমিনুল হকের। তার অধিনায়কত্বে ৬টি টেস্ট খেলে মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। সেটাও বলার মতো কোনো জয় নয়। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই জয়টি তার রেকর্ডে কিছুটা সফলতা যোগ করেছে মাত্র।
অধিনায়ক হিসেবে মুমিনুল কেমন, তা কিছুদিন আগে জানিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। ওয়ানডে অধিনায়ক বলেছিলেন বাংলাদেশের টেস্ট দল নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মুমিনুল সবচেয়ে যোগ্য ক্রিকেটার। যদিও মুমিনুলের রেকর্ড তা বলে না। কিংবা অধিনায়কত্বে বিশেষ ছাপ রাখতেও দেখা যায়নি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে।
টেস্টে হারের বৃত্তে বন্দি থাকার নেপথ্যে মুমিনুলের অধিনায়কত্বের দায় আছে কিনা, সেই কাটাছেঁড়া এখনও শুরু হয়নি। তবে বিভিন্ন সিরিজে যে দলের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারকে ছাড়াই দলকে নেতৃত্ব দিতে হয়েছে মুমিনুলকে, সেটার প্রভাব আছে? মুমিনুল বলছেন, সব ক্রিকেটারই শারীরিক দিক থেকে সমান। কারও ১০-১২টা হাত নেই যে, কেউ বিশেষ কিছু করে ফেলবে।
শ্রীলঙ্কা সফরে সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানকে ছাড়া লড়তে হবে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজের সময় এই দুই ক্রিকেটার আইপিএল খেলায় ব্যস্ত থাকবেন। মুমিনুল অবশ্য এ নিয়ে চিন্তিত নন। দলে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়েই লড়াই চালিয়ে যেতে চান বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক।
পূর্ণ শক্তির দল না পাওয়ার কারণে ফলাফলে প্রভাব পড়ে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে মুমিনুল বলেন, ‘না আমার কাছে মনে হয় না সাকিব ভাই বা মুস্তাফিজ না থাকলে দলের ফলাফল হবে না। খেলোয়াড় তো আরও আছে। ওনাদের তো ১০-১২টা হাত নয়। বাকিদেরও ১০-১২টা হাত নেই। আমার কাছে মনে হয় না এর কোনো প্রভাব পড়ে। আমরা হয়তো দলগতভাবে খেলতে পারছি না, এই কারণে ইতিবাচক ফলাফল হচ্ছে না। আর কোনো কিছু না।’
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের শেষ দুটি টেস্ট খেলতে ১২ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা দেবে বাংলাদেশ। এরআগে শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেন প্রাথমিক দলে ডাক পাওয়া ২১ ক্রিকেটার। এদিন প্রথম দলগত অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল।
নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশে। দেশে ফিরে টেস্টের জন্য সেভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ হয়নি তামিম-মুশফিকদের। তবে যারা নিউজিল্যান্ড সফরে যাননি, তাদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে বলেই বিশ্বাস মুমিনুলের।
শ্রীলঙ্কা সফরের আগেরদিন মিরপুরে মুমিনুল বলেন, ‘আমি বলব না যে খুব ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। যারা ৪ দিনের ম্যাচ খেলেছে, তাদের জন্য প্রস্তুতিটা ভালো হয়েছে। আমি ৪ দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। করোনাকালে আপনি হয়তো খুব বেশি প্রস্তুতি নিতে পারবেন না। যেভাবে দরকার, ওইভাবে আমার মনে হয় নিতে পেরেছি। বিশেষ করে যারা ওয়ানডে খেলে এসেছে, ওদের জন্য একটু কঠিন। কিন্তু যারা শুধু টেস্ট খেলে, ওরা দুটি ৪ দিনের ম্যাচ খেলেছে, লাল বলে অনুশীলন করেছে।’