ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী এবং ডিউক অব এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, বর্তমান ও সাবেক বিশ্বনেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন দেশের রাজপরিবারের পক্ষ থেকে শোক ও শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ তার শোকবার্তায় বলেছেন, ডিউক অব এডিনবরা এক দীর্ঘ ও অনন্য জীবন যাপন করে গেছেন এবং নিজেকে তিনি নানা মহৎ কাজ ও অন্যদের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন।
কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর নেতারাও তাদের বার্তায় প্রিন্স ফিলিপের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ডিউক অব এডিনবারা প্রিন্স ফিলিপকে ‘একজন মহান নিষ্ঠাবান ব্যক্তি’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, ‘তিনি এমন এক প্রজন্মকে ধারণ করেছিলেন যা আমরা কখনোই দেখতে পাব না।’
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন তার দেশের জনগণের পক্ষ থেকে রানি এলিজাবেথ ও রাজপরিবারের সবার প্রতি তার শোক ও সহমর্মিতা জানান।
লন্ডনে জার্মানির রাষ্ট্রদূত প্রিন্স ফিলিপের প্রশংসা করে বলেন, তিনি এক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়তা করেছেন।
প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুতে বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ শোক প্রকাশ করেছেন।
নেদারল্যান্ডসের রাজা উইলেম আলেকজান্ডার এক শোক বার্তায় বলেছেন, প্রিন্স ফিলিপ তার দীর্ঘ জীবন ব্রিটিশ জনগণের সেবার জন্য উৎসর্গ করেছিলেন, এবং তার প্রাণবন্ত ব্যক্তিত্বের ছাপ কখনো ভোলার নয়।
সুইডেনের রাজা কার্ল গুস্তাফ বলেছেন, ডিউক অব এডিনবরা ছিলেন একজন ‘অনুপ্রেরণা— সুইডিশ রাজপরিবারের দীর্ঘদিনের বন্ধু এবং এ সম্পর্ককে তারা অত্যন্ত মূল্যবান মনে করেন।
ফ্রান্সের ইউরোপ বিষয়ক মন্ত্রী ক্লিমেন্ট ব্যোন প্রিন্স ফিলিপকে যুক্তরাজ্যের জন্য শতাব্দীকালের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব বলে বর্ণনা করেন।
আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মাইকেল ডি হিগিন্স তার শোক বার্তায় প্রিন্স ফিলিপের কর্তব্যপরায়ণতার প্রশংসা করেন।
মাল্টার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট আবেলা ফিলিপের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ‘তিনি মাল্টাকে তার নিজের বাড়ির মত দেখতেন এবং প্রায়ই এখানে আসতেন। আমাদের জনগণ তার স্মৃতিকে সবসময়ই সমুজ্জ্বল রাখবে।’
উল্লেখ্য, ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপ শুক্রবার ৯৯ বছর বয়সে মারা গেছেন। ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদ বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিবৃতি দিয়ে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছে ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম বিবিসি।