আগামী ১১ এপ্রিলও দেয়া হবে না স্বাধীনতা পুরস্কার। বুধবার (৭ এপ্রিল) সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিবরণীতে বলা হয়েছে, আগামী ১১ এপ্রিল ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পূর্বনির্ধারিত ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠিত হচ্ছে না বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এর আগে গত ২৪ মার্চ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার হস্তান্তর অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে তা স্থগিত করে ১১ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু দেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের কারণে এই তারিখও স্থগিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে এবার চারজন স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- মরহুম এ কে এম ফজলুর রহমান, শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশিদ উদ্দিন আহমেদ ও মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাচ্ছেন ড. মৃন্ময় গুহ নিয়োগী। সাহিত্যে পুরস্কার পাচ্ছেন কবি মহাদেব সাহা। সংস্কৃতিতে নাট্যজন আতাউর রহমান ও সুরকার-গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন।
‘সমাজসেবা/জনসেবা’ ক্ষেত্রে পুরস্কার পাচ্ছেন অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন। গবেষণা ও প্রশিক্ষণে স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল।
স্বাধীনতা পুরস্কার হলো বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদক। ১৯৭১ এর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এই সম্মাননা প্রদান করা হয়ে থাকে।
স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্তদের ৫ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণপদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হবে।