ভারতজুড়ে করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। মহারাষ্ট্রে এরই মধ্যে লকডাউন ঘোষণা হয়ে গেছে। তবুও আইপিএল চালানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে আয়োজকরা।
তবে আইপিএলে ক্রিকেটারদের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। আইপিএলে খেলতে নামার আগে তাই খেলোয়াড়দের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল বিসিসিআই।
কিন্তু মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল আপাতত ক্রিকেটারদের ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ ভ্যাকসিনের টিকা না নিয়েই আসন্ন আইপিএলে খেলতে নামতে হবে ধোনি-কোহলি-রোহিত-পান্তদের।
করোনার মধ্যেই এবার ভারতের মোট ছয়টি শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আইপিএলের খেলাগুলো। কোনো দলকেই হোম অ্যাডভান্টেজ দেওয়া হবে না। সেভাবেই তৈরি হয়েছে সূচি।
প্লে-অফ এবং ফাইনাল হবে আহমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে। দিল্লি, আহমেদাবাদ, চেন্নাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরুতে ম্যাচ আয়োজন নিয়ে কোনো সংশয় না থাকলেও মুম্বাই নিয়ে চিন্তার ভাঁজ ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের কপালে। কারণ সেখানে বাড়তে থাকা সংক্রমণ। যে কারণে নতুন করে লকডাউনের পথে হেঁটেছে মহারাষ্ট্র সরকার।
আগামী শুক্রবার রাত ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৭ টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউন জারি থাকবে মহারাষ্ট্রজুড়ে। চলবে নাইট কারফিউ; কিন্তু তার মধ্যেও আইপিএল আয়োজন নিয়ে সবুজ সংকেত দিল বিসিসিআই ও মহারাষ্ট্র সরকার।
মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক জানান, খালি মাঠেই টুর্নামেন্ট আয়োজন হবে। পাশাপাশি ক্রিকেটারদের আইসোলেশনেও থাকতে হবে। অর্থাৎ মহারাষ্ট্র সরকারের কোভিড প্রোটোকল মেনেই আইপিএল খেলতে হবে ক্রিকেটারদের।
কিন্তু তাতেও বিসিসিআইয়ের উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। কারণ নবাব মালিক জানিয়ে দিলেন, ‘আপাতত কোনও ক্রিকেটারকে করোনা টিকা দেওয়া হবে না।’
তার যুক্তি, আইসিএমআর-এর গাইডলাইন অনুযায়ী, বর্তমানে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের বয়স, তাদেরই করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে। তাই এই সংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকা না পাওয়া পর্যন্ত ক্রিকেটারদের করোনা টিকা দেওয়া যাবে না।