বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই দেশে দেশে উদযাপন করা হয়েছে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান ইস্টার সানডে। রোববার (৪ এপ্রিল) স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও কড়া বিধিনিষেধের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পালন করা হয় বিশেষ এ দিনটি। গির্জায় গির্জায় অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ প্রার্থনা। এ সময় বিশ্বব্যাপী মহামারি নির্মূলের পাশাপাশি মানব জাতির সুখ ও সমৃদ্ধিও কামনা করা হয়।
মিয়ানমারে ইস্টার সানডের দিনটি ছিল একটু ভিন্ন। ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ আর বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেন দেশটির খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা। এদিন ইয়াঙ্গুনে হাতে ডিম নিয়ে ‘ইস্টার এগ স্ট্রাইক’ নামে ব্যতিক্রমী বিক্ষোভে অংশ নেন শত শত জান্তাবিরোধী আন্দোলনকারী। একই সঙ্গে ডিমে তিন আঙুলের প্রতীকী চিত্র এঁকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতি অনাস্থাও জানান তারা।
ইস্টার সানডের প্রার্থনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয় ভ্যাটিকান সিটিতে। এতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশ নেন সীমিতসংখ্যক মানুষ। যদিও এদিন সেন্ট পিটার্স স্কয়ারের বাইরে ছিল না কোনো সাধারণ মানুষ। ইস্টার সানডের প্রার্থনা শেষে দেয়া বক্তব্যে করোনা থেকে মুক্তির পাশাপাশি বিশ্ববাসীর সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন পোপ ফ্রান্সিস।
অস্ট্রেলিয়াতেও কড়া বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে ইস্টার সানডের আনুষ্ঠানিকতা। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই গির্জায় গির্জায় চলে প্রার্থনা।
এদিকে জেরুজালেমের ওল্ড সিটির হলি সেপুলকার গির্জায় অনুষ্ঠিত হয় ইস্টার সানডের বিশেষ প্রার্থনা। এটি পরিচালনা করেন রোমান ক্যাথলিকদের অন্যতম শীর্ষ ধর্মজাযক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রার্থনায় অংশ নেন স্থানীয় খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা। গির্জার এই স্থানটিতেই যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করা হয় এবং এর তিন দিন পর তার পুনরুত্থান হয়। যিশুখ্রিস্টের এই পুনরুত্থানের দিনটিকেই ইস্টার সানডে হিসেবে পালন করে থাকেন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা।
এ ছাড়া যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় এবং পাকিস্তানেও নানা বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে ইস্টার সানডের আনুষ্ঠানিকতা। বড় ধরনের কোনো আয়োজন ছাড়াই গির্জায় গির্জায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চলে প্রার্থনা।