মানুষের জীবনে বিপদ আসেই। তবে বিপদে ঘাবড়ে না গিয়ে মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়াটাই ঈমানদারের লক্ষণ।
রাসুলুল্লাহ (সা.) যখনই কোনো কঠিন সমস্যা বা বিপদের সম্মুখীন হতেন, তখনই আল্লাহর কাছে একান্তভাবে প্রার্থনা করতেন। বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, এমন অনেক দোয়া পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যহ সকালে ও সন্ধ্যায় তিনবার করে এই দোয়াটি পাঠ করলে কোনো কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না।
বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মায়াসমিহি শাইয়ুন ফিল আরদি, ওয়ালা ফিস-সামায়ি ওয়া হুয়াস সামিউল আলিম।’
অর্থ: ‘আল্লাহর নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোনো কিছুই কোনো ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।’ (তিরমিজি ও আবু দাউদ)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন-
– أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ
উচ্চারণ : ‘আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন গাযাবিহি ওয়া ইকাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ শায়াত্বিনি ওয়া আঁই ইয়াহদুরুন।’ (আবু দাউদ)
অর্থ : আমি আল্লাহ তাআলার পরিপূর্ণ বাক্যের মাধ্যমে তার ক্রোধ ও আজাব থেকে, তার বান্দার শত্রুতা থেকে এবং শয়তানের প্ররোচনা থেকে সুরক্ষার জন্য আল্লাহ তাআলার আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তারা আমার কাছেই না আসতে পারে।’
বালা-মুসিবত থেকে মুক্ত থাকতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অতি ছোট্ট একটি দোয়া সব সময় (সকাল-সন্ধ্যায়) পড়তেন। আর তাহলো-
– يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ، أَصْلِحْ لِيْ شَأْنِيْ كُلَّهُ، وَلَا تَكِلْنِيْ إِلى نَفْسِيْ طَرْفَةَ عَيْنٍ
উচ্চারণ : ‘ইয়া হাইয়্যু, ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিছু, আসলিহ লি সাঅনি কুল্লুহু, ওয়া লা তাকিলনি ইলা নাফসি ত্বারফাতা আইনিন।’
অর্থ : ‘হে চিরঞ্জীব, হে সৃষ্টিকুলের নিয়ন্ত্রক, আপনার রহমতের দোহাই দিয়ে আপনার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি, আপনি আমার সকল বিষয় শুদ্ধ করে দিন, এক মুহূর্তের জন্যও আপনি আমাকে আমার উপর ছেড়ে দিয়েন না।’ (নাসাঈ, তিরমিজি, মুসতাদরাকে হাকেম)